বাংলাদেশের নারীরা যত ইচ্ছে ব্যভিচার করতে পারে!
আমাদের দণ্ডবিধিতে এমন একটি গুরুতর অপরাধ রয়েছে, যার ফলে শুধুমাত্র মূল অপরাধীকে শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে অথচ প্ররোচনা দাতাকে শাস্তির বাইরে রাখা হয়েছে। আর, অপরাধটি হল ব্যভিচার।দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় বিবাহের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য ব্যভিচারকে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, “কোন লোক যদি অপর কোন নারীর স্বামীর বিনা অনুমতিতে বা যৌনকামনার উপস্থিতি ছাড়া যৌণসঙ্গম করে, যে নারী অপর কোন পুরুষের এরূপ যৌণসঙ্গম ধর্ষণের অপরাধ না হলে, সে লোক ব্যভিচার করেছে বলে পরিগণিত হবে ও তাকে যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ডে যার মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে শাস্তিযোগ্য হবে। এরূপ ক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটি দুষ্কর্মের সহায়তাকারিণী হিসেবে শাস্তিযোগ্য হবে না”।
যেহেতু, ধর্ষণ নয় অর্থাৎ বুঝা যাচ্ছে, এখানে নারীর সম্মতি ছিল। যাহোক, এভাবেই অপরাধের প্ররোচনা দিয়েও নারীরা আইনসিদ্ধভাবে শাস্তির বাইরে। অনেক পাঠক হয়ত প্রশ্ন করবেন এভাবে, যেখানে সকল অপরাধী এবং প্ররোচনাদাতা উভয়কে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ব্যভিচারকে কেন ব্যতিক্রম করা হল? এভাবে কি ব্যভিচারিণীকে উৎসাহ দেয়া হয়নি?