Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

রহস্যময় এরিয়া ৫১

: | : ২৬/০৯/২০১৩

Wfm_area_51_landsat_geocover_2000

 

পৃথিবীর রহস্যময় ও বিতর্কিত স্থান নিয়ে আমাদের রয়েছে কৌতূহল। তেমনই এক জায়গা এরিয়া ৫১। এ জায়গাটি আমেরিকার নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সামরিক ঘাঁটি। বিতর্কিত এ জায়গাটি সম্পর্কে অনেকেই আমরা জানি না। এ স্থাপনাটি লাসভেগাস থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে গ্র“ম লেকের কাছে অবস্থিত। দুর্ভেদ্য বেষ্টনীতে ঘেরা এ ঘাঁটির প্রবেশপথে লেখা আছে অনধিকার প্রবেশকারীকে গুলি করা হতে পারে। আজ পর্যন্ত বেসামরিক কেউ দাবি করেননি তিনি এরিয়া ৫১-এ ঢুকেছেন। যদি কেউ ঢুকেও থাকেন, তাহলে তিনি জীবিত আর বের হতে পারেননি তা নিশ্চিত। তবে স্থাপনাটিকে বিতর্কিত ও রহস্যময় করে তোলার পেছনে আশপাশের বাসিন্দারাই দায়ী। তাদের অনেকের দাবি, এরিয়া ৫১-এর আকাশে ফ্লাইং সসারের মতো কিছু উড়তে তারা দেখেছেন। আবার অনেকেই নাকি এমন দ্রুতগতির বিমান উড়তে দেখেছেন, যার গতি সাধারণ বিমান বা যুদ্ধবিমান কোনোটার সঙ্গেই মিলে না। এরিয়া ৫১-এ কর্মরত পদার্থবিজ্ঞানী বব লেজার এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওখানে এমন কিছু মৌলিক পদার্থ নিয়ে গবেষণা করা হয়, যা এখনো আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়নি। তিনি অবশ্য কিছু ধোঁয়াটে বক্তব্য দিয়েছেন একটি মৌলিক পদার্থ নিয়ে।

তার মতে, সুপারনোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকেই সম্ভবত একটি মৌল সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মাত্র ২.২ পাউন্ড ৪৭টি ১০ মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা বানানোর জন্য যথেষ্ট। ওখানে নাকি একটি সরল যন্ত্র আছে, যা চাকতি আর বল দিয়ে তৈরি। যন্ত্রের বলের চিপে ওই মৌলটি রাখা হলে সময়কে স্থির করে রাখতে পারে। তারা নাকি সময় স্থির করে রাখার পরীক্ষা চালিয়ে সফলও হয়েছেন। তার মতে, ওই মৌল পদার্থটি বলের চিপে রাখামাত্র তা কোনো একভাবে অ্যান্টিম্যাটার তৈরি করে এবং তার ফলে বিপুল শক্তি উৎপাদিত হয়। অ্যান্টিম্যাটার রিয়েক্টরে শক্তি উৎপাদনের ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বলের সৃষ্টি হয় এবং নিজস্ব শক্তিতে তা বিদ্যুৎবেগে ছুটতে পারে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাকি ওখানে ফ্লাইং সসার তৈরির গবেষণা চলছে। তবে বব সবচেয়ে বড় বোমা ফাটান এই বলে, সেখানে নাকি এলিয়েনদের নিয়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক ফ্লাইং সসার আছে। ওখানে এলিয়েনটির ব্যবচ্ছেদ করে নাকি পাওয়া গেছে, ওই প্রাণীটি এসেছে রেটিকুলাম-৪ নামক জ্যোতিষ্ক থেকে। প্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে তিন ফুট, শরীর লোমহীন কালো, বড় বড় চোখ এবং শরীর কৃশকায়।

দেহ ব্যবচ্ছেদ করে নাকি ফুসফুস ও হƒৎপিণ্ডের বদলে বিশাল এক পতঙ্গ পাওয়া গেছে। এরিয়া ৫১ নিয়ে চলমান বিতর্কের সবচেয়ে বড়টি হলো মানুষের চাঁদে যাওয়া নিয়ে নাটক। কিন্তু দুনিয়াতে প্রচুর সন্দেহবাদী আছে, যাদের ধারণা মানুষ চাঁদে কখনো যায়নি। পুরো নাটকটি সাজানো হযেছে এই এরিয়া ৫১-এর ভেতর। বিতর্ক চললেও আমেরিকান সরকার এসব কোনো কিছুই স্বীকার করেনি আজ পর্যন্ত। তাতে সন্দেহ না কমে বরং আরো বেড়েছে।

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top