দুইজন অমরাবতীর গল্প
পূর্ব প্রকাশিতের পর
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ৪০৮০ সাল বিজ্ঞানের ইতিহাসে আবার সংযোজিত হয়েছে এক নুতুন অধ্যায় এর l
টানা নয়মাস জেরমিক্স ও এথেনা র অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এ মানবের মস্তিস্ক এবং হার্ট এর সংযোজনে এ ক্লোন টি যখন ল্যাব থেকে বের সবার উদ্দেশ্যে হাই বলে হাসলো সবাই আনন্দে উল্লাস করে উঠলো ত্রিনিদাদ কে যারা চিনত সবার ই মনে হলো আমাদের ত্রিনিদাদ আমাদের কাছে ফিরে ফিরে এসেছে l
আনন্দে এথেনার চোখে পানি এসে গেল l
ত্রিনিদাদ ভাই আমার বলে ছুটে যেতে গেল সদ্য প্রাণ পাওয়া ক্লোন টির দিকে
জেরমিক্স হাত বাড়িয়ে বাধা দিয়ে তাকে বসালো হাতে কফি দিয়ে বলল
মহামান্য এথেনা এ সুধু ই ত্রিনিদাদ এর শারীরিক অবয়ব ব্যক্তিত্য চিন্তা চেতনা সম্পূর্ণভাবে একজন ক্লোন এর তার মানুষের মত ভাবার মত চিপস টা এখনো সংযোজন করা হয়নি সম্রাজ্ঞী l
তোমাকে ধন্যবাদ জেরমিক্স এক অসাধ্য সাধন করেছ তুমি আমার মাথা অবনত করে তোমাকে সন্মান প্রদর্শন করছি বলে এথেনা মাথা নত করলো জেরমিক্স এর সামনে l
ছি ছি তা করবেন না অযাচিত সন্মান প্রদর্শন করবেন না যদি বলেন আপনি কিছু কম কষ্ট করেন নি দিনরাত আমার সাথে থাকা প্রেরণা দেওয়া বলা যায় আপনাকে ভালোবেসে এ কাজ করেছি আমি এথেনা আবেগ এর স্বরে বলে জেরমিক্স l
ঠিক একই সময়ে এই মহাকাশের আরেক মাতৃসদন ল্যাব এ জন্ম নিল এক মানব শিশু এক নুতুন প্রাণ এর সে নীরা আর ত্রিনিদাদ এর পুত্রসন্তান l
শিশু টি জন্মের পর একটু পিটপিট করে তাকালো প্রথমে তারপর হাত মুষ্টিবদ্ধ করে চিত্কার করে জানালো তার প্রথম প্রতিবাদ একজন মানব সন্তান হিসাবে
তার অভিযোগ কেন তাকে মায়ের নিরাপদ প্রকোষ্ঠ থেকে এই বিপদজনক পৃথিবী তে আনা হলো ?
তার পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব নয় এই প্রকৃতির রহস্য বিধাতার রহস্য
তাকে আনতে গিয়ে প্রকৃতিতে সংঘঠিত হয়েছে কত ধংশ যজ্ঞ
তার ভ্রুণ যখন মায়ের প্রকোষ্ঠে ঢুকছিল একই সঙ্গে তাকে জন্ম দেওয়া পিতা ত্রিনিদাদ এর প্রাণ পাখি
চলিয়া যাইতেছিলো পরজগতের দিকে l
নার্স রোবট টি এসে নীরার কোলে তুলে দিল তার সন্তানটিকে
অতি মনোহর হইয়াছে দেখতে আপনার সন্তানটি বলল নার্স টি আনন্দের গলায় l
নীরার মনে কোনো আনন্দ হইতেছিলোনা সে শুন্য সিলিং এর তাকিয়ে ভাবতে লাগলো
হায় আমার ত্রিনিদাদ তুমি কোথায় ?
অপরদিকে ত্রিনিদাদ এর ক্লোন টি রহস্যময় কারণে উঠে বসলো এবং নিয়তির অমোঘ আকর্ষণে রওয়ানা হলো তার মানবীর মাতৃসদন রুম এ
তাকে নিয়া আসিতেছিল এথেনা ও জেরমিক্স কেননা ত্রিনিদাদ এর মৃত্যুর সময় তার শেষ যোগাযোগ ছিল নীরা
নীরা ত্রিনিদাদ এর হেটে আসার আওয়াজ শুনছে হৃদ্স্পন্ধন শুনছে নীরা উত্তেজনায় বিছানায় উঠে বসলো l
সেই সময়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো এথেনা জেরমিক্স ত্রিনিদাদ
নীরা কাওকে দেখছে না সুধু ত্রিনিদাদ কে
ত্রিনিদাদ ত্রিনিদাদ তুমি এসেছ ?
(পরবর্তিতে)