““বিপরীত আকর্ষণ””
ধব ধবে বক সাদা মেঘ
উড়ে বেড়ায় ঐ দূর নিলীমায়,
রাতের বুক ছিড়ে মেলা বসে
চাঁদ আর তারায়।
দেখি নাকো কিছুই আমি
দৃষ্টি সুখ কিংবা ভালোবেসে,
আকুল হয়ে তাকিয়ে রই-
তুমি হয়তো দেখছ ঐ আকাশ অন্য কোথাও বসে।
বিন্দু বিন্দু;দলবদ্ধ বিহংগ
উড়ে যায় ঐ দূরে,
হারায় বিহংগ গায়ের রং
দুরত্বের দায়-দেনা শোধ করে।
অভিমান করিস্নে বিহংগ
তোকে দেখার অতোটা নেই টান,
পরদেশি অতিথি পাখি তুই
হয়তো যেথায় পরবাসি মোর প্রিয়তমা-মোর প্রাণ।
দু’হাত মেলে দাঁড়িয়ে রই
দখিনা সমীরের বিপরীতে,
ফুলের কিংবা পাকা ধানের
সুবাস মাখা তাতে।
আমাকে অতোটা টানে না
ঐ সুভাসের আকর্ষণ,
তোমার সুগন্ধীময় দেহখানি ছুঁয়ে এসেছে
হয়তো ঐ দখিনা সমীরণ।
সাগরের উত্তাল উর্মিমালা ছুঁয়ে
খুঁজে পাই আমি প্রশান্তি,
ধুয়ে মুছে দেয় আমার
মনের যত ক্লান্তি।
নেইকো মোর মোহ
অবগাহন সমুদ্রে,
তুমি হয়তো ছুঁয়ে দিয়েছ ঐ জল
অনো কোনো সৈকতে।
ছুটে যাই আমি
স্পর্শ নিতে প্রকৃতির পানে,
স্বার্থপরের মত তৃপ্তি মিটাই
বিপরীত আকর্ষণে।