Top today
নিঃসঙ্গ যাত্রা
মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হবার পরে,
সেই যে কান্না আমার শুরু হলো কণ্ঠ বিদীর্ণ স্বরে;
তিরিশটি বছর ধরে আজও আমি কাঁদছি
আর অথই অশ্রু বন্যায় পাতার মতো ভাসছি !
আগে যখন কাঁদতাম, তখন অশ্রু ঝরনার মতো
দু’চোখ বেয়ে ঝর ঝর করে গড়িয়ে পড়তো;
দু’কপোল বেয়ে থুতনি থেকে
তারপর ক্রমে ফোটায় ফোটায় নিম্নে ব্যথিত বুকে।
তখন সেই বুক ভাসানো চোখের জলে খড়-কুটোর মতো
বিক্ষত বুকের চুইয়ে পড়া রক্ত ধুয়ে মুছে যেতো।
কিন্তু আশ্চর্য লাগে নিজেকে একটা কথা
ইদানিং কাঁদলে আর ভেজে না চোখের পাতা।
তার মানে এই, জল আর নেই
দু’চোখের গহন-গভীর অকূল-অতল সমুদ্রেই !
এ হৃদয় কি তবে হয়েছে নিস্তব্ধ, ধূ ধূ বালুচর ?
রৌদ্র দগ্ধ আমসির মতো কেমনে গত হলো এতোগুলো বছর,
ভাবতে গিয়ে ব্যকুল হয়ে পেছনে তাকাই
আমার কেহ কোন দিন ছিল না বুঝি আজও কেহ নাই।