শারদ-ছায়া
[দিগন্তজোড়া পুরো নীলাকাশে শুভ্র মেঘদল আর নীচে কাশের বনের মাতাল হাওয়ায় বাংলাদেশে শরত এসেছে। প্রতুষ্যে ঘাসের ডগায় জমছে টুপটাপ শিশির। প্রদোষে আবির মাখা অস্তাচলে ছোপ ছোপ কুয়াশার বিভ্রম। আগমনীর সুরে আসছে শারদীয় দুর্গোৎসব এবং ঈদুল আযহার অনুষ্ঠানমালা। কানাডার দূর-প্রবাসের বাংলাভাষী স্বজনেরা মেপল পাতা ঝরা দেখে বুকের গভীরে স্মৃতি-সত্ত্বা-স্মরণে যে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত খুঁজে ফেরে, তাদের জন্য নিবেদিত এই নস্টালজিক কবিতা: ‘শারদ-ছায়া’।]
আগমনীর ছোঁয়ায় কেউ একজন অনেক বছর পর
আবার এসেছে শরতের আমন্ত্রণেÑ
ঠিক তখনই বদ্ধ মাতাল রোদের কবি নগর বিবাগী হয়ে
যমুনা চরের সফেদ কাশের বাগানে লীন:
কবি তাঁর ব্যক্তিগত ফ্রেমের কিছুটা মেঘ, স্মৃতি ও বেদনা
মাখিয়ে জানান, ‘যমুনা কিনারে রাঁধা ডাকিছে, কৃষ্ণ হে…’
কালো জল ছলছল অবিরল বিরল বাতাসে
নদী তীরে শরতে শরতে কে আসে? কে?
পরমার্থে একজন প্রকৃত কবিই ঠিক চিনতে পারেন
ভালোবাসার রাঁধাকে:
যার শরীরে কাশের পোষাক আর চুলে মেঘমালা
চোখে যমুনার জলভেজা কৃষ্ণের অন্বেষা
ও রাঁধা,
নদীতে জলের ছায়ায় ভাসছে
একজন কবি কিংবা কৃষ্ণÑ
যে নামেই ডাকো তাঁকে ঢেউয়ে ঢেউয়ে ফিরে পাবে
প্রেমের সঙ্গীতে…
রাঁধা হে,
নদীতে শারদ ছায়ায় ভাসছে তোমার কানাই…
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ৩০ সেপ্টেম্বর, রাত ৯টা।