তোমাকে দেখব বলে সেই কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ তলে
পিছ ঢালা পথের ধারে পদ্ম ফোটা দিঘীর জলে ;
তীর্থের কাক আমি হেরিতে কাতর
তুমি পাষানী হৃদয় তোমার পাথর ।
তুমি দেখেছ ? কভু কি শুনেছ ?
কোন দিন কি জানতে চেয়েছ ?
তীব্র অপেক্ষায় অনিদ্রায় কত ব্যর্থ ছলে
কেটেছে
যদি কেউ জানতে চায়
মৃত পুরী থেকে,
নয়তো প্রথম পদার্পনেই,
কেউ যদি জানতে চায় আমার বাড়ি কোথায় ?
আমি মৃতিকায়, তুমি প্রাসাদে কেন,
কেন তুমি হাওয়ায় ভেসে পাখিদের মত দিগন্ত নীলিমায়?
জন্মের স্রোতধারী সেতো ভিন্ন নয়।
ভ্রমনের শুরুতে সজ্জিত ছিলাম একই সাজে,
তুমি, আমি, আমরা।
অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, কলিজা ফুসফুস
সবইতো
তুমি কর ক্যাটক্যাট
আমি করি খ্যাটখ্যাট
আমরা সারাক্ষন করি
ক্যাটক্যাট খ্যাটখ্যাট।
অবিরাম চলে আমাদের
প্রেমের এই ক্যাটক্যাট খ্যাটখ্যাট।
যখন চলে এই ক্যাটক্যাট খ্যাটখ্যাট
ভূলে যাই ছিলাম কি
আদৌ কোন প্রেমিকা
আবেগীয় রমনীয় বউ।
কোথায় না চলে
আমাদের মধুর প্রেমের
এই ক্যাটক্যাট খ্যাটখ্যাট
লিফটে এলিভেটরে
রাস্তায় অন্যের বাসায়।
দরজা নড়িয়া সরিয়া যায়
জানলা খুলিয়া পড়িতে চায়
প্রতিবেশীরা কানাকানি কয়
শব্দ
হাজার স্বপ্ন জ্বলাঞ্জলী দিয়ে,
লাখো বাঙালীর রক্ত নিয়ে,
এনে দিয়েছিলে আজ বিজয়ক্ষণ।
আমারা বাঙালী গর্ব নিয়ে,
হুংকারে জানাই বাংলা দিয়ে,
জন্মেছি বাংলায় হয়ে গর্বিত সন্তান।
বাংলার রক্তিম সূর্য শহীদের,
বাংলার সবুজ অদম্য মায়েদের,
বাংলার বিজয় অবিনাশী কবিতাদের।
বাংলার কথা লক্ষ প্রাণের রক্তের,
বাংলার হাসি সম্ভ্রমহারা বোনদের,
বাংলার প্রতিটি সালাম শুধুই তোমাদের।
জীবনের
আমি রক্ত দেখেছি–উন্মাদ রক্ত ঝর !
দেখেছি মায়ের কলঙ্ক রেখায় আমার শরীর,
ভাইয়ের মৃত দেহের অসাড় ফুটপাত,
বোনের ডানা কাটা ক্ষত ছেঁড়া দেহে নর্দমা পাঁকের চীৎকার ,
বুক ফাটা চীৎকারের পাগলিনী আলুথালু নারী দেহ,
ধারালো লালসার গাঁথা চোখ–ক্ষুরধার খঞ্জর বেঁধা পাঁজর,
আমি দেখেছি–বীভৎস শুয়ে থাকা লাশের সারি…ভয়ঙ্কর রাত্রি
সেই বোবা পথ ঘাট মাঠ–দেখেছি