সময় সবেরে বৃদ্ধ করেছে
হয় নি সে তবু,
সে চিরকাল যুবক বেশেই
নিয়েছে সবার পিছু।
সে সর্বদা রসকসহীন
তবু সে চায় মধু,
মানব হৃদয়ের সঞ্চিত রসে
সেই যৌবনে শুধু।
তাই মানুষ আসে আর চলে যায়
পড়ে তার গ্রাসে,
তবু কেন জানি সময়ের দাবিতে
বার বার চলে আসে।
বারবার
যদি বল আমি নেই,
মেনে নিতে দ্বিধা নেই!
যতটুকু স্মৃতির দাগ–
আলোকিত মধ্যাহ্নের মুখ
ছুঁয়ে ছিলে আমার অন্তঃস্থল
সেটুকু সযত্নে রাখা হৃদয়ে।
সকাল শিশিরের দূর্বা কোমল দেহে
ভোর সূর্যের লালিম রৌদ্রপাতে
আঁকা আছে সে সব কথা–-
সেই গাঁথা মালা,স্পর্শাতুর ক্ষণ–
কামনা লাগা ছিল ঢুলু আঁখির ফলকে,
কাতর প্রার্থনার নগ্ন দেহে
ঢলা ছিল
আমাকে দৃশ্যে পাবে না আর–
আমি চলে যাব স্বর্গপ্রিয়ার সাথে
দিনশেষে–গোধূলি-আঁধারে।
নিশিথে ফুটে যেকুসুম তারই ঘ্রাণে হয়তো
কোনদিন অনুমান করতে পার সত্যিকারের ভালবাসলে
হয়তো দেখবে আমায় ফুটফুটে জোছনার আবছায়াতে
ঐ যে দূরে–ভয়াল কালো জলের বিরাট বিলে
হয়তো রক্তকমল হয়ে ফুটব আমি আবার
আমার প্রেমে মত্ত জলপরিরা হুমড়ি খাবে