মা, ওই বাজে শোন ঈদের বাঁশি
শরচ্চন্দ্রের কতই হাসি!
খোকা, তোর লাগি প্রাণ আকুল করে
বড়ই নিঃস্ব আমি এ বিশ্বভরপুরে।
মাগো, তোমায় আমি করব জ্বালা
এ ভেবে মন করো না কালা।
খোকা, তুই যে আমার অবোধ ছেলে
তাই তো আমার হৃদয় জ্বলে।
মা, তুমি আমায় দোয়া কর
এটুকু মোর
___________________________
কলঙ্কিনী!
ওই যে ও পাড়ার
ঐ মেয়েটি
রূপসী ,
রূপজীবি
রূপ বেচে
যৌবন বেচে
দেহ বিকোয় জনে জনে,
লোভে
স্বভাবে
পেঠের দায়ে
ফাঁদে পড়ে
অথবা আটকে গেছে
প্রতারণার জালে ,
আকণ্ঠ নিমজ্জিত\
কলঙ্কের চোরাবালিতে;
সোনার চান পিতলা ঘুঘু ওরে
যাবে নাকি ওই পাড়ায়
ঐ ঘরে
রূপসীর কাছে ?
নারী ও মাদকে
কলঙ্ক জলে ডোবে
দুঃখ ভুলে সুখ কুড়োতে ?
একা তো আর
কলঙ্ক জলে যায়
সোজা পথের পথিক কেন
উল্টো পথে হাঁটে?
দিনমজুরের স্বপ্ন-বেলুন
ধপাস করে ফাটে?
মাটির মেঝেয় শয্যা কারো
বালিশ-কাঁথায় ঘাম,
এসি ঘরে ঘুমিয়ে করে
জীবনের বদনাম।
সুখ-সাঁজালির পায়েস-পিঠা
অরুচিকর খাদ্য,
মন কারো নয় হাতে ধরা
ডুগডুগি বাদ্য।
ভুল ঋতুতে পেখম তুলে
ময়ূর কখন নাচে,
ধুকপকুনির অংক কষে
যখন মানুষ বাঁচে।
নামতা কষা জীবন জুড়ে
জটিল ধারাপাত,
বেঁচেও কেউ মরে থাকে
সোজা