হায়রে আমার বন্ধুরে
চলে গেলা কোন দূরে
খুঁজে বেড়াই ঘুরে ঘুরে
শহর থেকে গাঁ ও ।
হায়রে পরান বন্ধুরে
খুঁজবো আমি কোন বনে
আমায় তুমি বলে দিয়ে যাও।।
ব্যাথা দিয়ে বন্ধুরে
কি সুখ পা ও অন্তরে
আমায় তুমি একটিবার সুধাও ।
হায়রে আমার বন্ধুরে
চলে গেলা কোন দূরে
খুঁজে বেড়াই সবখানে
শহর ছেড়ে
বৃষ্টিস্নাত সকাল। বাসে সফর করছে অনি। পুরা নাম অনিরুদ্ধ হাওলাদার। সংসারে অনিকে সাদরে বরণ করে রুদ্ধকে যখন অনাদরের আবর্জনায় নিক্ষেপ করা হয় তখন পূর্ণরূপে রূপায়িত হয় ‘অনি’। বর্তমানে তাকে ‘অনিরুদ্ধ’ বললে বান্ধবমহলেও চেনা দায়। চালকের পিছনাসনে আসীন। রঙিন চশমা পরে
অনিকেত মুচকি হেসে বলে-পথ দিয়ে আসতে ছিলাম।এমন সুন্দর ফুল দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না।মনে হল,ফুলটা তোমার খুব পছন্দ হবে।
-একদম বাজে।কখনও আর আমার জন্য ফুল নিয়ে আসবেন না।ফুল আমার ভাল লাগে না।
-আচ্ছা এরপর আর আনব না।
-আপনি কী চান একটু দয়া
কবিতারা ক্লান্ত
একটা সময় ছিল যখন
কবিতায় ছিল সুরের লহরী
গান হয়ে কবিতা ভেসে বেড়াত
গোধুলী লগ্নের নীলাভ আকাশের মাঝে
যেদিন সুখে ভাসায়েছিল তারে
কবিতার ছন্দ ভালবাসায়
সেই থেকে অপেক্ষার
প্রহর গোনা;
ঋতু আসে যায়
সে ফের ফিরে আসবে
অপেক্ষায় তাই শরতের শিউলি
প্রভাতের শিশির ভেজা তরুলতা, দুর্বা
মাগো আমার অনেক স্বপ্ন বইমেলাটা ঘিরে
দেখব আমি সকল ষ্টল সব পাঠকের ভীরে ।
মাগো আমায় দাওনা কিনে নতুন ক’টি বই
প্রতি বছর নতুন বইয়ের প্রতিক্ষাতেই রই।
আমার ঘরে থরে থরে রাখব আমি যতন করে
নতুন পুরান সকল করিব ভিন্ন স্বাদের বই্
দেখাব আমি আসবে যখন
না যাইনি ওমন আলোয় যেথা –
হিজলের ছায়ায়, রোদের নরম ছোঁয়ায় জেগে উঠে আত্মা ;
হৃদয়হীনতার ছবি এঁকেছি বহু নষ্ট রঙে,
তাই বুঝি প্রেম আর মায়ার রুহু বিদায় নিল
অকারণে !
হৃদয়ের মুখ আমি দেখিনি কভু,
তার যাতনা সয়েছি শুধু ;
একদিন সীমানা কেটে প্রবেশ দেহদেশে,
হইহই করে