ফুল তুলতে গেলে রক্ত দান করতে হয়
জলে সাঁতার দিতে গেলে কাপড় ভেজাতে হয়
ফল পেতে গেলে বীজ রোপন করতে হয়
মাটি কর্ষণ করলেই তবে উর্বর হয়, তা
হৃদয় পাতলে কি ভরে দিতে পারবে ?
– তুমি চাইলে পারব না দিতে এমন জিনিস
খুব কমই আছে
মা, এখন আমি তোমার কাছ থেকে
অনেক দুরে।
আমি যখন একাকি থাকি
তখন সারাক্ষণ তোমার কথা ভাবি।
প্রতিদিন মনের আয়নায়
ছায়াছবির পর্দার মতো,
ভেসে উঠে তোমার মুখচ্ছবি।
আহ! কত সুন্দর তুমি।
মমতায় ভরা তোমার হৃদয়
ভালোবাসা দিয়ে গড়েছ আমায়
করেছ তুমি বড়।
শিশুকালে তোমাকে
দিয়েছি কত যন্ত্রণা
তবুও তুমি দেখাওনি
একটু বিরক্ত।
আমি
রাত্রির শব্দহীন শরীরে
নিজস্ব নিয়মে নেচে যায়
রূপবতী বৃষ্টি
রিমঝিম নাচের মুদ্রায়
নিয়ে যায় পাতালের নাচঘরে
নিটোল অন্ধকারের দীর্ণ বুকে
বিজলীর রূপালী শরীর
আভূমি উলঙ্গ করে পৃথিবীকে
জমাট আসর শেষে
বের হয় পৃথিবীর ধূলিহীন দেহ
আঁচলের বাতাসে বেয়াড়া ডালপালা
বিতাড়িত হয় পরাশ্রয়ী কীটের মতো
অথচ এ বৃষ্টি
আমাদের মনের কালিমা
জন্মান্ধ স্বার্থপরতা
হিংসার গভীর ক্ষত
কোন
আঁধারে ঢেকেছে বেলা
ধ্বসে পড়া ভবনের নীচে
জমেছে মৃত্যুর মেলা
জীবনকে করে মিছে
হাজারো প্রানের আর্ত চিৎকার
জানায় প্রতিবাদ
ধ্বসে পড়া মানবিকতার
তীব্র আর্তনাদ
বিধাতা শোনেনি আহাজারি কারো
দেখেনি মৃত্যু খেলা
মানুষের পাশে মানুষই দাঁড়াবে
জেনেছি এই বেলা
মৃত্যুপুরীর বিভীষিকা আর
শীতল অন্ধকার
লুটিয়ে পড়া তরুন সতেজ
দেহগুলো নিঃসাড়
পরপারে পাড়ি দেবার খেলায়
হিসাব মিলানো ভার
দশ বিশ