রূপসী , সুকেশী , সুনয়না আঁধারের শশী
সুন্দুরী অপরূপা তোমার তুলনা তুমি ।
তোমার জন্য দিতে পারি
মহাসাগর পাড়ি
তোমার জন্য সাজাতে পারি
তারা রাশি রাশি !!
হারিয়ে যেতে পারি গহীনে
হিমালয় কিংবা উচু চূড়া যেথায়
আগ্নেয়গিরী অগ্নুতপাত লাভায়
তুমি আমার মনের মাধুরি পাখি,
মনের পিপাসা মিটাতে পারি
দেখি মায়াবি দুটি
মনে কি পড়েনা কখনও
সু-সময়ে কি দুঃসময়ে
ছুটে যেতে ইচ্ছা হয়। অতঃপর
পাগলের মত জড়িয়ে ধরি তোমাকে।
তুমি প্রেম দাও, আদর দিয়ে
দূর করে দাও সমস্ত ক্লান্তি।
তোমার দৃষ্টির শান্ত ছায়া,
আমাদের ছোট গাঁয়ের বটতলাটা যেমন।
শেকড়ে শেকড়ে নুঁইয়ে আছে
অবিন্যস্ত ডালপালাগুলো,
কত পথিকের সান্তনা।
তুমি শুধু আমাকে খূশী করো,
আমার অতৃপ্ত
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
বুদ্ধি কেহ নিবেন নাকি
বুদ্ধি বেচে খাই
বুদ্ধি দিয়েই এই জগতে
দু’চার পয়সা পাই।
ভাল বুদ্ধি মন্দ বুদ্ধি
কুটিল বুদ্ধি আর
সকল প্রকার বুদ্ধি আছে
বুদ্ধিরই কারবার।
দ্বন্দ-ফ্যাসাদ করতে চাইলে
সে বুদ্ধিটাও আছে
মারামারি ঝগড়া-ঝাটি
সেটাও পাবে পাছে।
ঋণ ঝামেলায় পরতে চাইলে
বুদ্ধি পাবে পাকা
ঋণের জ্বালায় ছাড়বে বাড়ি
পালিয়ে যাবে ঢাকা।
তিন চারটে
কারা যেন আগুন জ্বেলেছিল,
হাড় কাঁপানো গোধূলিতে আষাঢ়ে গল্পের ভিড়ে
তাপ পোহাতে ;
ধিকিধিকি আলোতে অশরীরী শিকারিরা বয়ান করছিল
জলে নেমে,
মাছ বনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ।
আরোও বলছিলো –
সাদা বিকেলে ছুটতে ছুটতে মানুষ অবয়ব কিভাবে
বিন্দুতে মিলিয়ে গিয়ে
বকপক্ষী রূপে ফিরে আসে,
অশরীরী মত্স্য শিকারে !
নিস্তব্ধ লালচে পৃথিবীটাকে
রহস্যপূর্ণ অট্টহাসিতে
দুই নারী’র চুলা-চুলি
আমগো মরণ দশা।
মরিচের জান যায়
পাটা-পুতা’র ঘষা।
মারামারি;কাটাকাটি
তাগো বিনোদন,
মধ্যিখানে কচু কাটা
হয় জনগন।
ক্ষমতার চেয়ারে
বসতে হবে তাই,
যেমন করে হোক
চাই-ই শুধু চাই।
মুখ নয় ডাস্টবিন
গন্ধ ছড়ায় খিস্তি,
তাগো কাছে হার মানে
অশিক্ষিত বস্তি।
ক্ষমতার মস্নদে
বসা-ই তাদের লক্ষ্য,
কত জন লাশ হলো
খালি মায়ের বক্ষ।
কিচ্ছু আসে-যায় না তাতে
চায় তারা ক্ষমতা,
তাগো