Today 18 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika
  • লিমেরিক : বন্ধুরে

    হায়রে আমার বন্ধুরে
    চলে গেলা কোন দূরে
    খুঁজে বেড়াই ঘুরে ঘুরে
    শহর থেকে গাঁ ও ।
    হায়রে পরান বন্ধুরে
    খুঁজবো আমি কোন বনে
    আমায় তুমি বলে দিয়ে যাও।।
    ব্যাথা দিয়ে বন্ধুরে
    কি সুখ পা ও অন্তরে
    আমায় তুমি একটিবার সুধাও ।
    হায়রে আমার বন্ধুরে
    চলে গেলা কোন দূরে
    খুঁজে বেড়াই সবখানে
    শহর ছেড়ে

    Read more...
  • স্ব-ইচ্ছা যাত্রা

     

    নদীর ভরা যৌবনও কখনও কখনও

    হাহাকারের নিঃসঙ্গতা দেখায়

    দুই পারের অনেক দূর বয়ে যাওয়া চোখ

    বার বার একাকিত্বের কথাই মনে করিয়ে দেয়,

    বাঁশ বাগানে জোনাকির অবাধ বিচরণে,

    শেয়ালের পাতা গুড়িয়ে যাওয়া শব্দে

    যখন ভীত মন

    তখনও তোমাকে কাছে না

    Read more...
  • চুপকথা

    বৃষ্টিস্নাত সকাল। বাসে সফর করছে অনি। পুরা নাম অনিরুদ্ধ হাওলাদার। সংসারে অনিকে সাদরে বরণ করে রুদ্ধকে যখন অনাদরের আবর্জনায় নিক্ষেপ করা হয় তখন পূর্ণরূপে রূপায়িত হয় ‘অনি’। বর্তমানে তাকে ‘অনিরুদ্ধ’ বললে বান্ধবমহলেও চেনা দায়। চালকের পিছনাসনে আসীন। রঙিন চশমা পরে

    Read more...
  • শেষ বিকেলের ছবি-১ (একই প্লেসে)

    আমাদের গ্রাম……….. শেষ বিকেলে এমনি মনোরম পরিবেশ তৈরী হয়……….

    ১। তালগাছের ফাকে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য

    ২। দিগন্তজোড়া সবুজ আর সবুজ

    ৩।

    ৪। প্রাকৃতিক আয়না………

    ৫। বকেরা উড়ে বেড়ায় স্বাধীন ভাবে……

    ৬।

    ৭। ঝাকে ঝাকে সাদা বকগুলো ধান খেত থেকে খাবার সংগ্রহ করছে……..

    ৮।

    ৯।

    ১০।

    Read more...
  • হৃদয়পুরে দেশান্তরী-২০

    ঘোমটা টেনে দিচ্ছিলি তুই, বাজলো কাঁকন,ঝনাৎ !
    বুকের ভেতর সবটুকু কাঁচ বিদীর্ণ তৎক্ষণাৎ !
    কাঁচের ঘায়ে বুকের ভেতর প্রবল রক্ত ক্ষরণ !
    তুই না ছুঁলে এবার আমার কে ঠেকাবে মরণ !

    Read more...
  • Next Page »

ওরে ধরা তুমি বুঝি জননী
আর সকলি তোমার দুলাল নন্দিনী
শ্রেষ্ঠ জাদুকর তুমি মনে হয়
তাই সবার চিত্ত কর জয় ।
তুমি যে মোর চির আপন ,
ভুলিতে নাহি চায় মন ।
মায়ের মমতা তোমার ক্ষমতা যেন সমান
দিনে দিনে তোমার প্রেমে হই ধাবমান ।
তোমার কোলে

আমাদের ঘর-বারান্দা ভাঙা জানালায়

জ্যোৎস্না-সোপান।

নড়বড়ে খিল কপাট নাচায়

পোষা-পায়রার চুটকি উড়ান।

 

আমাদের হোঁচট খাওয়া

জিনে-পাওয়া,সুখ-চৌকাঠ।

সবুজ-সুর নাচিয়ে ফেরে

ফসল-ভরা মাঠ।

 

আমাদের আঙুল-ভাঙা পেরেকগুলো

বিছানায় সিঁধিয়ে থাকা ডাইনী-ধূলো,

টালির চালে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন যেন।

মালির মতই গাছের যতন

ফুল-ছোঁয়ানো অরুপ রতন

জায়নামাজে গান গেয়ে যায়,অশ্রু হেন।

আমি ভাবতেই দু’চোখে জল দেখি

মানুষের মত মানুষ হতে পারলাম কৈই-

মুখের ঠোঁটে-ভাষার চোটে মানবতা

নাকি?ধান ভাজার মত ফুটেছে খই।

আমি একটুতেই কামড়ে ধরি-কালরাতের

হায়নার মত আচঁড় দিতে পারি-আর

পারি হাসি মুখে নিস্পাপ দু’হাতে

গলাটিপে উল্লাসে খুন করি খুন করি।

 

আমি কার আদরে আদরে বখে যাওয়া

আলোরণে হঠাৎ থমকে উঠি!
ক্রমেই সমুদ্রের ঢেউয়ের মত হৃদয়ের গভীরে
গর্জিয়ে উঠে কারা যেন।
নিজের শব্দ-কথা, হাসি, গুনগুন গান-
বিকট হতে থাকে।
কান দিয়ে শুনতে পাই কেউ যেন ভেতর থেকে
চিৎকার করছে অতি উচ্চ বাচ্যে।
ভেতরের আমিটা ক্রন্দনে ক্রমেই ক্লান্ত।
আমাকে আর সহ্য না করতে পেরে নিজেই বিদ্রোহে আক্রোশে-
ঝাপটা

সংগৃহীত
উপন্যাস বা নভেল গদ্যে লেখা দীর্ঘ বর্ণনাত্মক কথাসাহিত্য। কবিতা, নাটক, ছোটগল্পের ন্যায় উপন্যাস সাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা। যিনি উপন্যাস রচনা করেন, তিনি জনসমক্ষে ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিতি পেয়ে থাকেন। উপন্যাস লেখার নির্দিষ্ট নিয়ম বা কাঠামো নেই। তবে সচরাচর এগুলো ছোটগল্প ও

জীবনের সীমান্তে এসে
পেছনে তাকিয়ে দেখি
স্মৃতির বিস্তার…
সবুজ কৈশোর ছোঁয়া।

জীবনের এ্যালবাম
নীরবে ওল্টাতে থাকি—
চেয়ে দেখি পাতায় পাতায়
বিপ্লব, কারাবরণ
জীবন যুদ্ধের মাঠ
পত্রিকা অফিস
উদ্যাম তারণ্য
কৈশোর,শৈশব
পাঠশালা,পন্ডিত মশাই
এমন হাজারো ছবি।

শুরু থেকে কয়েকটি পাতাই শুধু
খালি পড়ে আছে…
-আমার জন্ম ঘোষণা
প্রথম কান্নার সুরে,
-মায়ের দুধের স্বাদ
-তাঁর মোহময় বুকে নীরবে ঘুমিয়ে পড়া
-খাবার দাবীতে

টে টে করে আর কাঁদবি না। আর পারছি না। আমার জীবনটা অতিষ্ঠ করে দিলি। বিয়ের পর থেকে সংসারের ঘানি টানতে টানতে আমার জীবনটা শেষ হওয়ার উপক্রম। অতি কষ্টে মুখ দিয়ে এমন কথাগুলো বের হচ্ছিল রাহেলা বেগমের।

আর দশটা মেয়ের মতো রাহেলা

যে ঘাটের পাটনী তুমি
সে ঘাটের যাত্রী আমি
খেয়া পারাপারে প্রতিদিন দেখা হয়
কথা হয়
হয় সুখ-দু্ঃখ বিনিময়;
ভাবিনি তো কোনদিন
হাজার যাত্রীর ভীড়ে
তুমি এত নি্ঃসঙ্গ একা !

 

আমি ও একা
তোমার মতো
নদীর এপার-ওপার ফিরি
মনের মানুষ খুঁজি,
নদী-ঢেউ-জল
ছল-ছল- ছল্‌
ফেরে না কখন ও সেই ঢেউ সেই জল
পায় না খুঁজে কভু

বালিকার শরীরে তখনও কাঁচা ঘ্রাণ–

কচি ধান,সবুজ সতেজতা

বাতাসের সাথে সে হেলে দোলে

হাসে খেলে–

জানে না কো আসন্ন সে পথ

কাঁকড় পাথর নুড়িতে শানিত–

সেখানে কঠিন চামড়ার ঘামে

অমানুষ সংক্রামক বুভুক্ষা !

 

কতবার চৈত্রের খরায়

তার ম্লান আলোক ক্ষয়িত শরীরে

বর্ষা হুতাশ জাগবে–

দীর্ঘ শ্বাসে জেগে উঠবে

আপন পোড়া মাটি গন্ধ

আমি ভুলতে চেয়েছি তোমাকে
কিন্তু ভুলতে পারি না,
কেন যে ভুলতে পারি না?
তাও বলতে পারি না।

আমি অন্যকে নিয়ে ভাবতে চেয়েছি
কিন্তু ভাবতে পারি না,
কেন যে ভাবতে পারি না?
তাও বলতে পারি না।

আমি হাসতে চেয়েছি
কিন্তু হাসতে পারি না,
কেন যে

go_top