ওরে ধরা তুমি বুঝি জননী
আর সকলি তোমার দুলাল নন্দিনী
শ্রেষ্ঠ জাদুকর তুমি মনে হয়
তাই সবার চিত্ত কর জয় ।
তুমি যে মোর চির আপন ,
ভুলিতে নাহি চায় মন ।
মায়ের মমতা তোমার ক্ষমতা যেন সমান
দিনে দিনে তোমার প্রেমে হই ধাবমান ।
তোমার কোলে
আমাদের ঘর-বারান্দা ভাঙা জানালায়
জ্যোৎস্না-সোপান।
নড়বড়ে খিল কপাট নাচায়
পোষা-পায়রার চুটকি উড়ান।
আমাদের হোঁচট খাওয়া
জিনে-পাওয়া,সুখ-চৌকাঠ।
সবুজ-সুর নাচিয়ে ফেরে
ফসল-ভরা মাঠ।
আমাদের আঙুল-ভাঙা পেরেকগুলো
বিছানায় সিঁধিয়ে থাকা ডাইনী-ধূলো,
টালির চালে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন যেন।
মালির মতই গাছের যতন
ফুল-ছোঁয়ানো অরুপ রতন
জায়নামাজে গান গেয়ে যায়,অশ্রু হেন।
জীবনের সীমান্তে এসে
পেছনে তাকিয়ে দেখি
স্মৃতির বিস্তার…
সবুজ কৈশোর ছোঁয়া।
জীবনের এ্যালবাম
নীরবে ওল্টাতে থাকি—
চেয়ে দেখি পাতায় পাতায়
বিপ্লব, কারাবরণ
জীবন যুদ্ধের মাঠ
পত্রিকা অফিস
উদ্যাম তারণ্য
কৈশোর,শৈশব
পাঠশালা,পন্ডিত মশাই
এমন হাজারো ছবি।
শুরু থেকে কয়েকটি পাতাই শুধু
খালি পড়ে আছে…
-আমার জন্ম ঘোষণা
প্রথম কান্নার সুরে,
-মায়ের দুধের স্বাদ
-তাঁর মোহময় বুকে নীরবে ঘুমিয়ে পড়া
-খাবার দাবীতে
বালিকার শরীরে তখনও কাঁচা ঘ্রাণ–
কচি ধান,সবুজ সতেজতা
বাতাসের সাথে সে হেলে দোলে
হাসে খেলে–
জানে না কো আসন্ন সে পথ
কাঁকড় পাথর নুড়িতে শানিত–
সেখানে কঠিন চামড়ার ঘামে
অমানুষ সংক্রামক বুভুক্ষা !
কতবার চৈত্রের খরায়
তার ম্লান আলোক ক্ষয়িত শরীরে
বর্ষা হুতাশ জাগবে–
দীর্ঘ শ্বাসে জেগে উঠবে
আপন পোড়া মাটি গন্ধ