Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika
  • লিমেরিক : বন্ধুরে

    হায়রে আমার বন্ধুরে
    চলে গেলা কোন দূরে
    খুঁজে বেড়াই ঘুরে ঘুরে
    শহর থেকে গাঁ ও ।
    হায়রে পরান বন্ধুরে
    খুঁজবো আমি কোন বনে
    আমায় তুমি বলে দিয়ে যাও।।
    ব্যাথা দিয়ে বন্ধুরে
    কি সুখ পা ও অন্তরে
    আমায় তুমি একটিবার সুধাও ।
    হায়রে আমার বন্ধুরে
    চলে গেলা কোন দূরে
    খুঁজে বেড়াই সবখানে
    শহর ছেড়ে

    Read more...
  • স্ব-ইচ্ছা যাত্রা

     

    নদীর ভরা যৌবনও কখনও কখনও

    হাহাকারের নিঃসঙ্গতা দেখায়

    দুই পারের অনেক দূর বয়ে যাওয়া চোখ

    বার বার একাকিত্বের কথাই মনে করিয়ে দেয়,

    বাঁশ বাগানে জোনাকির অবাধ বিচরণে,

    শেয়ালের পাতা গুড়িয়ে যাওয়া শব্দে

    যখন ভীত মন

    তখনও তোমাকে কাছে না

    Read more...
  • চুপকথা

    বৃষ্টিস্নাত সকাল। বাসে সফর করছে অনি। পুরা নাম অনিরুদ্ধ হাওলাদার। সংসারে অনিকে সাদরে বরণ করে রুদ্ধকে যখন অনাদরের আবর্জনায় নিক্ষেপ করা হয় তখন পূর্ণরূপে রূপায়িত হয় ‘অনি’। বর্তমানে তাকে ‘অনিরুদ্ধ’ বললে বান্ধবমহলেও চেনা দায়। চালকের পিছনাসনে আসীন। রঙিন চশমা পরে

    Read more...
  • শেষ বিকেলের ছবি-১ (একই প্লেসে)

    আমাদের গ্রাম……….. শেষ বিকেলে এমনি মনোরম পরিবেশ তৈরী হয়……….

    ১। তালগাছের ফাকে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য

    ২। দিগন্তজোড়া সবুজ আর সবুজ

    ৩।

    ৪। প্রাকৃতিক আয়না………

    ৫। বকেরা উড়ে বেড়ায় স্বাধীন ভাবে……

    ৬।

    ৭। ঝাকে ঝাকে সাদা বকগুলো ধান খেত থেকে খাবার সংগ্রহ করছে……..

    ৮।

    ৯।

    ১০।

    Read more...
  • হৃদয়পুরে দেশান্তরী-২০

    ঘোমটা টেনে দিচ্ছিলি তুই, বাজলো কাঁকন,ঝনাৎ !
    বুকের ভেতর সবটুকু কাঁচ বিদীর্ণ তৎক্ষণাৎ !
    কাঁচের ঘায়ে বুকের ভেতর প্রবল রক্ত ক্ষরণ !
    তুই না ছুঁলে এবার আমার কে ঠেকাবে মরণ !

    Read more...
  • Next Page »

বোশেখ মাসে সূর্য হাসে
শুধু যেন মাথার উপর,
সকাল নেই রাত নেই
যখন তখন শুধু দুপুর ।

রোদের তাপে মানুষ চাপে
গা- ভিজে যায় ঘামে,
গাড়ীর সামনে গাড়ী হাজার
আমি এখন আছি পরে জ্যামে ।

বোশেখ এলো এলো ঝড়
কাঁপে ঘরের টিন- কাঁপে খুঁটি ,
হাজার মানুষ পথে আটকা
যাদের অফিস

 

ভুলতে পারিনা তোমার সুনিপুন মায়াবী মুখচ্ছবি
যতই চাই না ভুলতে , ততই সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি
ভেসে উঠে পাঁজরের ফ্রেমে রাখা রক্তের দর্পণে,
কাজল কালো ডাগর দু’টি আঁখি, কাতর চাহনি,
আধূলী সুগোল হাসির ঠোল, রাঙা কপোল 
নীল তিল ঝিলমিল, হাসি উচ্ছ্বল খিল

বসন্তের হাত ধরিয়া

জাফর পাঠান

 

নহে ঝিরি ঝিরি-নহে ফিরি ফিরি, অঝোরে ঝরে,

থরে থরে মুষলধারে।

আসেনি আষাঢ়-আসেনি শ্রাবণ,

এই ভর দুপুরে
পথে যেতে যেতে আমি হারিয়ে ফেলি পথ
নিরন্তর খুঁজে ফিরি বৃক্ষ ছায়া সুখ !
কেউ কোথাও নেই !
আমি একা
শুধুই একা !
ব্রহ্মপুত্রের দুই পাড়ে লতানো কাশফুল গুলোর মত
অথবা ধূলি ঝড়ে উড়িয়ে নেয়া বালিকা বালুর মত !
মাঝে মাঝে ক্ষণ প্রভার মত
জোসনা আসে

পরম বাবা
জাফর পাঠান

শৈশবের প্রারম্ভে যখন আমি বুঝতে শিখেছি
স্মরণের পাতায় স্মৃতি জমা করতে সবে শুরু করেছি,
বাবা সেই সময়ের কথা বলছি
হতবাকে তোমায় ভালোবেসেছি।
বাবা, আমি দেখেছি!

 তুমি আমার জন্মদাতা পিতা,

আমি জন্ম নিয়েছি স্বাধীনতা উত্তর

দেখিনি পাকিস্তানী পতাকা

দেখিনি ভাষা আন্দোলন

পাইনি দেখিতে মুক্তি আন্দোলন।

 

আমি দেখিনি শোষণ শাসন

আমি দেখিনি লুটপাট-অত্যাচার

পরম বাবা
জাফর পাঠান

শৈশবের প্রারম্ভে যখন আমি বুঝতে শিখেছি
স্মরণের পাতায় স্মৃতি জমা করতে সবে শুরু করেছি,
বাবা সেই সময়ের কথা বলছি
হতবাকে তোমায় ভালোবেসেছি।
বাবা, আমি দেখেছি!

দেখেছি সেদিন গুঁজেছো খোঁপায় টকটকে এক লাল গোলাপ !
অনিন্দ্য শোভা মাতাল করেছে ভুলিয়ে দিয়েছে হাজার পাপ !
রূপের আগুনে ঘৃতাহুতি দিতে গোলাপ করেছে জীবন দান !
তোমার রূপের নজরানা দিতে তৈরি রেখেছি এ গর্দান !

সুখের ই পৃথিবী
সুখের ই অভিনয়
আসলে কেও সুখী নয়।

(আইয়ুব বাচ্চুর একটি গান)

ঘর থেকে বাহিরে আপন পর প্রতিবেশী সবাইকে জিজ্ঞাসা করি যখন
“কেমন আছেন” কাওকে পাইনা ১০০ পারসেন্ট ওয়ার্ম পরিতৃপ্ত হসিমুখে
বলতে হ্যা আমি সুখী ।
সবার হাজার ধরনের সমস্যা।

এজন্য মনে হচ্ছে সুখ ???
জিনিসটা আসলে

 

ঝপাঝপ বৃষ্টি

ধমাধম সৃষ্টি

খলনায়ক কেঁড়ে নিল

জনতার দৃষ্টি।

 

তাক ধিনা ধিন নৃত্যের তালে

আমজনতা হেঁসে খেলে 

বলে তাঁরা একী হলো !

ইতিহাস পাল্টে গেল?

 

না না, তা কী করে হয় !

আমজনতার লাগে ভয়

কোথায় আছিস ওগো তোরা

বলিসনা ক্যান থোড়া থোড়া

 

হোচট খেয়ে চেতনারা

অভয় দিয়ে বলে তাঁরা

খামোশ;

আমরাই তো মূলধারা ।

go_top