Today 31 May 2023
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

SQ3R পড়ার কৌশল

লিখেছেন: গোলাম মাওলা আকাশ | তারিখ: ২৩/১০/২০১৪

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1189বার পড়া হয়েছে।

SQ3R পড়ার কৌশল

fg

বর্তমানে আমাদের ছোট ভাই বোনরা পড়াশুনা করছে সৃজনশীল পদ্ধতিতে। আর তাদের পড়াশুনার মাঝে এসেছে নতুনত্ব। তাদের গোটা বই পড়তে হয়। তা না হলে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব কঠিন। আর ভালো রেজাল্টের জন্যে তাদের পড়তে হয় প্রচুর।আবার সময়ও তাদের কম। আর এই পড়াশুনার জন্য বিভিন্ন জন বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করে।

আর তাদের পড়াশুনার জন্য সহজ একটি পদ্ধতি কোয়ান্টা রিডিং।

যে কেও যে কোন শ্রেণীর মানুষ বেছে নিতে পারে কোয়ান্টা রিডিং পদ্ধতি । যদি আপনাদের বসতে হয় পরীক্ষায়।

>>এ পদ্ধতিতে পাঠ্যবইয়ের অপ্রয়োজনীয় শব্দগুলো বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় শব্দগুলোই আপনি পড়বেন এবং মনে রাখবেন। নিচের বিশ্লেষণটি লক্ষ্য করুন

>>S= survey। পড়তে বসার আগে যা পড়বেন তাতে কোয়ান্টা রিডিং পদ্ধতিতে দ্রুত একবার চোখ বুলানোই সার্ভে। এক্ষেত্রে যে অধ্যায়টি পড়বেন তার শিরোনাম, উপশিরোনাম, ছবি, ক্যাপশন, গ্রাফ, ডায়াগ্রামগুলোতে চোখ বুলান। সার্ভের মধ্য দিয়ে আপনি বুঝতে পারবেন কী পড়তে যাচ্ছেন।

>>Q=Question। চ্যাপ্টারের শিরোনামগুলোকে প্রশ্নে রূপান্তরিত করুন। কী, কে, কেন, কীভাবে, কখন, অথবা তুলনা কর, পার্থক্য কর, বর্ণনা কর, তালিকা কর ইত্যাদি পরিভাষায় এই প্রশ্ন করা যেতে পারে। যেমন, বইয়ের শিরোনাম হলো উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসান। প্রশ্নে রূপান্তরিত করলে এটি হবে, উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন অবসানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা কর। প্রশ্ন করার ফলে আপনি সচেতন হয়ে উঠবেন যে কী পড়তে যাচ্ছেন আপনি। আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবার জন্যে এবার পড়া শুরু করুন। যেমন, অধ্যায়ের নাম-

আমাদের শরীরের কথা, উপশিরোনাম রক্ত এবং SQ3R প্রশ্ন হলো, রক্ত কী? রক্তের উপাদানগুলো কি কি? এদের কাজ কী?

বইয়ে এই প্রশ্নটির উত্তর হিসেবে দেয়া আছে নিচের প্যারাগ্রাফটি :

রক্ত না থাকলে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হতো না। সে চেষ্টা হতো তেল ছাড়া গাড়ি চালানোর মতো। রক্তের কাজ হচ্ছে শরীরের সর্বত্র প্রয়োজনীয় বস্তু সরবরাহ করা। সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় বস্তু বের করে দেয়া। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে ৫ লিটারের মতো রক্ত থাকে। দু’রকম কণিকা রক্তে থাকে: লোহিত কণিকা ও শ্বেত কণিকা। বেশিরভাগ লোহিত কণিকা তৈরি হয় হাড়ের মজ্জায়। শ্বেতকণিকার ভূমিকা হচ্ছে শরীরকে রক্ষা করা। তারা জীবাণুদের সঙ্গে লড়াই করে আর এন্টিবডি নামে রাসায়নিক বস্তু সৃষ্টি করে যার কাজ হচ্ছে আততায়ী জীবাণু ধ্বংস করা। রক্তে প্রতি ঘন মিলিমিটারে ৪০ থেকে ৬০ লক্ষ লোহিতকণিকা থাকে। এরাই প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আর কার্বন ডাই অক্সাইডের ব্যবস্থা করে।

>>R= Recite যা পড়েছেন সেগুলোকে জোরে জোরে আওড়ানোই রিসাইট। পড়া নিজেকে শোনান। ঠিকমতো কি হচ্ছে? না হলে আবার পড়ুন। এতে মনে রাখা সহজ হবে।

>>R= Revise এতক্ষণ যা পড়লেন তা বার বার ঝালাই করাই হলো রিভাইস। নিয়মিত বিরতিতে এই রিভিশন দিতে হবে।

আমার মনে হয় বুজে ফেলেছেন আপনারা। এই পদ্ধতিটি আপনি নিজের জন্য যেমন প্রয়োগ করতে পারেন তেমনি সাজেশান দিতে পারেন আপনার ছোট ভাই এবং বোনকে।

ভাল থাকবেন সবাই কে নিয়ে।

সুত্রঃ সাইট।

১,১৫১ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
আমি খুব সাধারণ।
সর্বমোট পোস্ট: ১৩৩ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৯৭৪ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৮-২২ ১৬:৩০:৪৭ মিনিটে
banner

৪ টি মন্তব্য

  1. সহিদুল ইসলাম মন্তব্যে বলেছেন:

    ভাই ছোট ভাই এবং বোনদের জন্য আপনার উপদেশ, ভালো লাগলো।

  2. দীপঙ্কর বেরা মন্তব্যে বলেছেন:

    যেভাবেই পড়ুক পড়লেই হবে ।
    অক্ষর গিললেই জ্ঞান বাড়ে ।
    লেখা ভাল ।

  3. কল্পদেহী সুমন মন্তব্যে বলেছেন:

    লেখা পড়ার কিছু কৌশল থাকে। আপনার কাছে নতুন কৌশলটি জানতে পেরে ভালো লাগলো।

  4. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    সুন্দর পদ্ধতির কথা বলেছেন। আসলেই পাস যেমন সহজ পড়াশুনা করাটাও
    অনেক কঠিন। আমার ছেলে ফাইভে পড়ে অনেক পড়াশুনা করতে হচ্ছে। পুরো বইই রিডিং পড়তে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top