Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

চোখে জড়ানো ঘুমের আবেশ
সূয্যি মামার কিরণে নাই কোনো তেজ।

পূব আকাশে হঠাৎ রবির কিরণ করে ওঠে ঝলমল
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু করে টলমল ।

গাছ হতে সদ্য নামানো খেজুরের রস
পাশে কল-কাকলীদের চোখে মুখে হরষ।

ঝলমলে রোদে বিছিয়ে পাটি
নিচে চাপা দিয়ে কুয়াশায় ভেজা মাটি।

মিঠা রোদে

মেয়ে তুমি কি কাগজের ঘুড়ি?
দিয়ে অন্যের হাতে নাটাই
যেভাবে ওড়ায় তেমনি ওড়ো……….
কত আশা বুকে নিয়ে
ধীরে ধীরে হয়েছ বড়ো………
কত চঞ্চলতা ছিল তোমার মধ্যে
ডানপিটে বলতো সবাই তোমাকে
এখন কেন হয়ে থাকো এত জড়ো সড়ো …..
স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে যারা তোমার
তাদেরকে কেন তুমি ভয় করো………
কি নেই

দেমাকটা ঝেড়ে ফেলে দিতে চাও না!!
ইচ্ছে করে এক আকাশ নীল থেকে
একমুঠো নীল এনে তো তোমার গায়ে ঢেলে দেই;
নীলে নীল হয়ে আরো… আরো বেশী রেগে থাকো;
জানো! রাগলে অমানিশার আঁধারে ছেয়ে যায় তোমার মুখ।
অথবা দিনের আলো নিভিয়ে দিয়ে
আকাশজুড়ে কালো মেঘের মতই হয়ে

দিন অস্থির রাত অস্থির
নি:শ্বাসটাও হয় না স্বস্থির,
রাত পোরালে দিনে শুনি
অবরোধ এর জয়ধ্বনি…
গাড়ি জ্বলে; মানুষ পুড়ে
লাশের গন্ধ বাতাসে উড়ে।
আতঙ্ক পলে পলে;
কে যে কি করছে তলে তলে!!
কার মনে কি আছে!
ষড়যন্ত্র করে পাছে……
আইন কানুনের বালাইষাট
অবরোধে শুন্য মাঠ,
লাশ গুম; থাকলে শত্রুতার জের
কারা মারছে করবে

আর কত! সেই কবে থেকে শুরু দেখার
কত কিছুই দেখে গেলো চক্ষু দুইটি
ধ্বসে পড়া ধ্বংসের ভিতর হতে কাপার্ত হাত;
বাঁচার আকুতি ইশারায়,
কাতরাতে কাতরাতে অক্সিজেন ফুরিয়ে যেতেও দেখেছে চোখ,
রক্তাক্ত রাস্তা, লাশ হয়ে পড়ে থাকা মানুষ;
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন কাঁচের গুড়া;
ঝনাৎ ঝন পড়ল বুঝি খসে কাঁচের

আনমনে দাঁড়িয়েছিলাম ধুলি উড়া পথের বাঁকে,
স্তব্ধ ছিলাম,
মানুষের আনাগোনা দেখার ছলে ভাবনার অতলে ডুব
শুধু আমিই ছিলাম না আমাতে..
হয়তোবা বেশ খানিকটা সময় পেরিয়েছে
একাকিত্বের ওই প্রহরে;
কোন কিছুর মাঝেই আমি নেই বা
প্রস্তুত ছিলাম না মোটেও
অকষ্মাৎ শো শো ধুলি ঝড় শুরু,
এত্ত গুলি ধুলি এসে দুচোখে

এভাবে পোড়াও কেনো…..
…………………………. কাজী ফাতেমা ছবি
===========================
কথায় পোড়াও, চোখে পোড়াও
হালকা ঝড়ো হাওয়ায় উড়াও,
পোড়াও ধিকিধিকি অনলে
পুড়তে পুড়তে কষ্টের অতলে।
পুড়ি ড্রিল আগুনে…
পুড়ে অন্তর দুলকি
দেহ পোড়ায়, মন পোড়ায়
সর্বাঙ্গে ঝরে আগুনের ফুলকি…
কি আগুনে পোড়াও তুমি!
তেজ নাই উত্তাপে,
দেহে সয়, মনে সয়
চোখে জল ঝরে সন্তাপে।
নত হই সুখের

শীতার্ত প্রকৃতির জড়তার ঘটিয়ে অবসান
ঋতুরাজ বসন্তের হলোরে আগমন ।
সোনার কাটির স্পর্শ; সুপ্তিমগ্ন প্রকৃতির দিল ঘুম ভাঙ্গিয়ে
কৃষ্ণচুড়া পলাশ শিমুল দিয়ে প্রকৃতি নিল নিজেকে রাঙ্গিয়ে ।
পুষ্প পল্লবে প্রকৃতি হলো নব সাজে সজ্জিত
যে দিকে তাকাই প্রকৃতি যেন রক্তে রঞ্জিত ।
পাখির কলকাকলি

কাউকে ঠকাই অথবা ঠকাই না
ঠকেছি হাজার বার;
সে ঠকেছে হয়তো আমার কাছে একবার
ঠকে বসে আছি হয়তো, ভাবছি!
ঠকলাম যার কাছে ভাবে নাই সে
অথবা ঠকেছে সে আমি গুনাক্ষরেও ভাবি নি।
নিয়মের ব্যতিক্রমও ঘটে জীবনে
কখনো কাউকে ঠকাতে চাইনি
অথবা ঠকাতে গিয়েও ফিরেছি শুণ্য হাতে,
হয়তো প্রয়োজনের অতিরিক্ত

মানুষ তো তুই
ভালবাসিস না কেন!
বকুল শেফালী জুঁই,

নস তো দেবতা
তবে অপ্রিয় কেন?
গল্প গান কবিতা।

প্রাণ ভরে নিচ্ছিস শ্বাস
অপছন্দের তালিকায় কেন?
তরুলতা সবুজ গাছ।

নিজেকে নিয়ে কাটাস ছুটি
একান্তই নিজের লোকদের নিয়ে
একাকী খাস লুটোপুটি।

তুই বড্ড ঘুম কাতুরে,
ভালবাসিস না জোছনা ভরা রাত,
কেনোরে মনটা তৈরী তোর পাথরে?

সাগর না

go_top