Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

স্বাধীনভাবে বড় হয়েছিল তার দু’টি মেয়ে
শাসন যে ছিল না মোটে,
পড়াশুনায় ছিলনা তো মন
পাড়ার ছেলেরা সুযোগে মজা লোটে ।

সন্ধ্যায় দেখা যেতো তাদের ঘরে
রাতভর আড্ডা চলত বকাটেদের
বিড়ি খেত, তাস খেলত
কিছুতেই বাঁধা ছিলনা তাদের।

আচমকা একদিন তার বড় মেয়ে
বলা নেই কওয়া নেই হয়ে গেল

বহু ত্যাগ তিতিক্ষা আর প্রাণের বিনিময়ে হয়েছিল স্বাধীনতা অর্জন
কৃষক, যুবা-তরুণরা যুদ্ধে নেমেছিল করিয়া (করে) গর্জন ।

অর্জিত হয়েছিল লাল-সবুজের পতাকা দীপ্তিময়
বাঙালীরা লড়েছিল ছাড়িয়া (ছেড়ে) প্রাণের ভয় ।

মুক্তিকামী মানুষেরা ছিনিয়ে এনেছিল মুক্তি
সোনার বাংলা, মাতৃভূমির প্রতি ছিল তাদের অটল ভক্তি ।

ভাষা পেয়েছি, স্বাধীনতা

আকাশের নীলিমা তুমি
তোমার আমার নামটাও বেশ হয়েছে
উপরওয়ালা যেন মিলিয়েই পাঠিয়েছেন
প্রকৃতিও যেন হিংসা করে পাছে ।

নীলিমা তোমার চোখগুলো গভীর নীল
আজ আমার মনও বিষাদে ভারাক্রান্ত নীল।

নীল চোখে নীলিমা তুমি তাকিয়ে থাকো
অনাগত দু:স্বপ্নের আকাশে
তোমার পছন্দের সেই নীল আকাশ
আজ বিষাদে রক্তিম লাল হয়ে গিয়েছে

আমি দেখতে চাই না
তোমার অবজ্ঞাভরা বাঁকা হাসি
তার চেয়ে দেখতে চাই
সমুদ্রের বিশাল ঝিলমিল নীল জলরাশি ।

সমদ্র দেখিনি তো
তাই দু:খ টাও সহস্র বিন্দু
তোমার দেয়া অবহেলার শংখশব্দের চেয়ে
ঢের ভাল বিশাল গর্জনের ওই সিন্ধু ।

আমি চাইনা তোমার
দেয়া অপমানের জ্বালা
তার চেয়ে ভীষণ ইচ্ছে জাগে দেখতে
সুউচ্চ

বাসলে ভালো বাসুক
চাইলে কাছে আসুক
ভাবতে চাইলে আমায় নিয়ে
মনটা দাও আমায় দিয়ে
উড়তে যদি চাও
সুদূরে নিয়ে যাও;
ভাসতে চাইলে দুজন মিলে
ডিঙ্গি করে চল দুরের ঝিলে;
বাস ভাল; কাছে আস
নীলে উড়ো; মেঘে ভাস,
জলে ভিজাও; সুদূরে আমায় নিয়ে হারাও,
দুরে নয়; কাছে এসে হাত দুটি বাড়াও।
মন খারাপের

তুমি তো কিছুই দেখনা
হৃদয়ের যন্ত্রণা….আর কান্না
চোখে যে ঝরে অবিরত
হিরে মতি পান্না…..।

দেখেও কি কর না দেখার ভান
আমার প্রতি এহেন অবহেলা দেখে আমি মুগ্ধ
ভালবাসার রঙই তো তুমি চেন না
তাহলে তুমিতো আসলেই বর্ণান্ধ ।

থাক তুমি তোমার জায়গায় অটল
তোমাকে আর জ্বালাব না
বরং আমিই যাই

কতই তো দেখছি, শুনছি
বুঝছি। বয়সের সাথে চলতে চলতে
সময় যেন কেমন দ্রুত যাচ্ছে পাল্টে ।

মানুষে মানুষে বাড়ছে ভেদাভেদ
অন্তরে ক্রমশ:ই বাড়ায় খেদ ।

পাল্টে যাচ্ছে মানুষের ভাষা
রহস্যে ঘেরা সব, যেন সর্বনাশা ।

মানুষ গুলো সব মুখোশধারী
দেখে যাই মুখোশ পড়ে চলছে সারি সারি ।

ভাষা নকল,

ছয়টি ছেলে দুইটি মেয়ে তার
ছিল না সে অতি দরিদ্র,
গ্রাম্য ডাক্তার হিসাবে বেশ নাম ডাক
পেশাটাও তো ছিল অতি ভদ্র।

কিন্তু মানুষ করতে পারেনি
সে তার আটটি সন্তান,
এলোমেলো আর তছনছ হয়
তাদের সাজানো উদ্যান।

এসবের পিছনে কারন ছিল একটাই
সবই ছিল ঠিক, শুধু ঠিক ছিল না তার

ইদানিং কোনো কিছুতেই মন টানে না
কি নেই কি নেই, সঠিকটা মন জানে না।

সব কিছুতেই আন্তরিকতার বোধ করছি অভাব
অভিনয়টা মানুষের হয়ে গেছে স্বভাব।

ভাবিনি চারপাশের মানুষগুলো বদলে যাবে এভাবে
ভাবনাতে আসেনি সময় আমাকেও এভাবে পাল্টে দিবে।

হ্যা, এখন আর কিছুতেই মন বসে না
কিছুতেই উল্লাসে

রোজ রাতই আমার
কবিতার রাত,
কবিতারা ডাকে আমায়
বাড়িয়ে দিয়ে হাত।

কবিতায় থাকে না কোনো মিল
বা থাকে এলোমেলো ছন্দ,
কিন্ত এখানে থাকে
কিছুটা হলেও জীবনের গন্ধ।

কবিতায় খুঁজতে যেও না কেউ
বিশাল শব্দের ভাণ্ডার,
সব এলোমেলো লাইন আর
সহজার্থ কথা মালার সমাহার।

এখানে কিছু থাকে
জীবনের কথা,
থাকে দুঃখ অভিমান আর
না পাওয়ার ক্ষীণ

go_top