Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

তোমাকে চুমু খেতে গেলেই লিপস্টিক
নয়তো শীতের হিম আটকে দেয়া বেয়াড়া লিপজেল।
এলোচুলে উড়ে বেড়ায় শ্যাম্পুর ঘ্রাণ
শরীরের প্রত্যেকটি কণা থেকে ছোবল মারে
কোন এক উন্মত্ত বডি লোশন
আর জামাতে সেঁটে থাকে নাম না জানা দামী পারফিউম!
সত্যিই যেন তোমার শরীরের ঘ্রাণ-নেশায় বহুবছেরর আসক্ত আমি!
সাবালিকা, তুমি

তবুও বৃষ্টি আসুক…

বহুদিন পর আজ
বাতাসে বৃষ্টির আভাস,
সোঁদা মাটির অমৃত গন্ধ-
এখনই বুঝি বৃষ্টি আসবে
সবারই মনে উদ্বেগ-
তাড়াতাড়ি ঘরে ফেরার ব্যস্ততা।
তবু আমার মনে নেই বৃষ্টি ভেজার উদ্বেগ
আমার চলায় নেই কোনো লক্ষণীয় ব্যস্ততা।

দীর্ঘ নিদাঘের পর
আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির সম্ভাবনা
অলক্ষ্য আনন্দ ছড়ায় আমার তপ্ত মনে –
আর আমি

কাল সূর্য ওঠেনি আকাশে,আজও না
ঘোর অন্ধকারে ঢেকে গেছে এ পৃথিবী
কার অভিশাপে জানিনা এহেন নিশী,
ত্রিলোকে দূর্যোগের প্রলয়ঙ্কারী ঝঞ্ঝা।
কাঁপছে আকাশ, কাঁপছে বাতাস লয়ে
পুরুষ ও কাপুরুষ কাঁপছে সবাই,
কাঁপছে এ ধরা,মা বসুমতি নিকারে
হে প্রভু,পরিত্রাণের নেইকি উপায়?

হেনকালে পূব আকাশে কে দেখা

কবিতার খেরো খাতা আজ রেখেছি তুলে
মোটা লাল কাপড়ে বাঁধাই করা,
যেখানে লেখা আছে ছন্দপতনের গল্পগাঁথা
কাব্যে এবং ছন্দে, দ্বগ্ধ হৃদয়ের কথা
বিশুদ্ধ কিন্তু গোপন রহস্যে,
অপ্রকাশিত সত্যের সূক্ষ বুনন।।

কবিতাকে দিয়েছি আজ দীর্ঘ ছুটি
কালি আর কলমে আজ হবে না দেখা,
প্রজাপতির পাখায়

তুমি বলেছিলে,”বাংলা তোমায় মানায় না,
বাঙ্গালী মানে আনকালচারড,ফেলনা।
রূপের বড় অভাব,
সেকেলে ভাবটা আজো গেলোনা।”
আমি শুনেছিলাম,ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম;
লুকিয়ে রেখে ক্রোধ, প্রশ্ন করেছিলাম,
“এই কি তোমার বিবেক?
এই কি তোমার বোধ?”

ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখো,
পিছন ফিরে তাকাও
খুব বেশি দূর নয়,
বাহান্ন সালের ক্যালেন্ডারের পাতায়
চোখ রাখো ফেব্রুয়ারীতে,উত্তপ্ত ঢাকার রাজপথে;
আমার মায়ের

যোগেন ঠাকুরের সেই দিন নেই আর
নেই সেই পূজার আয়োজন দেবালয়ে,
নেই ঘন্টা কিংবা শঙ্খ ধ্বনি,
নিজ ভূমে যোগেন ঠাকুর আজ পরবাসী।।

গেলো বছর কার্তিক মাসে
হুমকি দিলো মোল্লার ছেলে,
“বাংলা ছেড়ে হিন্দুস্থান যা, যা চলে যা
নেংটি ইঁদুর,মালুর ছা।
এই বাংলায় নেই অধিকার,
ছেড়ে দে ঐ মুর্তি পূজা।
কালেমা

একটু বিশুদ্ধ সময়ের খোঁজে
হেঁটে যাই পথে
পথ থেকে পথে
স্মৃতির ছেড়া টুকরো কুড়াই
কুড়িয়ে বেড়াই
পাওয়ার হিসাব মেলেনা
নির্ভেজাল সময়কে
ধরতে যাই
খুঁজে পাই বহুদূরে
শৈশবের স্মৃতির আড়ালে
যেখানে এখনো
রুপকথা খেলা করে ।

ছুটতে ছুটতে ধরতে চেয়ে মেঘ

অসীম শূন্যে হারাই আবেগ

বুঝতে বুঝতে বোঝাই হল সারা

হয়তো তাতেই হলাম দিশাহারা

বলতে বলতে থামতে হতো যত

কথার মাঝে হারাবো আর কতো

হাঁটতে হাঁটতে হয় না যাওয়া আর

সময় হয় শুধুই ফিরে আসার ।

তোমার ঐ দুটি চোখ
বিধাতার লেখা এক কাব্য;
হাতছানি নয় ইশারায় ডাকে,
জাগিয়ে তোলে তারুণ্য।

নীল চোখে স্বপ্ন দেখাও-
নীলিমায় দিবানিশি;
দৃষ্টিজুড়ে গোধুলীর আভায়,
একে দিলে কোন ছবি !

চঞ্চল চোখে ওগো মায়াময়ী,
বাঁধিলে দৃষ্টি, জানো কি তুমি?;
ও চোখে কেনো দূর্বার নেশা-
জানে কি তোমার আমি?

~ নীলকন্ঠ জয়
০২/০৯/১৩ইং

গীতিকবিতা-(০১)

সেদিনের সেই তুমি কত বদলে গেছ
আমার পৃথিবী আজও তেমনি আছে,
যেমন দেখেছ॥

কোথায় সেই সুর, সেই গান
প্রাণে প্রাণে এত মান অভিমান,
মনে হয় যেন তুমি আজ
সবই ভুলে গেছ॥

সেইসব দিন আজও আমায়
আকুল করে ডাকে,
যেতে যেতে পথে এখনও
আমি দাড়াই থমকে॥

আজ ও আমি যে গানে গানে
স্মরণ

go_top