Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

দিন ফুরালেই এই দিন টুকুর,
বিষণ্ন্নতার রেশ থাকে রাতভর, জোনাক-জোনাকিরা বসে যায়
জ্যোত্স্না ডুবা রাতে সহসা তারাদের, কবিতা পাঠের জমজমাট আসর
শামুক ঘুগরির নৈশব্দের গান বেজে উঠে।

বাঁশঝাড়ের কঞ্চির ফাঁকে ফাঁকে চুঁইয়ে পরে,
নির্লিপ্ত জ্যোৎস্নার ঝিকমিক আলো,মাটির চুষে নেয়া জলের মত
দিনের বিপন্ন কাব্য উত্থানে মেঘ

রোদের প্রখরতা কে হেমন্ত ঢাকে যেন কুয়াশার প্রলেপে,
ঝরা শিউলির শিশির মাখা গন্ধ, মেঘের মুখে যেন কলুপ এঁটেছে
শুধু আকাশ বেয়ে চেয়ে চেয়ে, শঙ্খচিলের ঝাঁকে নির্লিপ্ত মিলিয়ে থাকে
যেন শূণ্য হাওয়ার কোলে ভাসে চাওয়ার খানিক অবয়ব।

আরো খানিক ছিল প্রপিতামহের স্মৃতির আকড়
গুহা গাত্রে যে

ঘরের মধ্যে ক্ষুধার জ্বালা,
অফিস যাওযার বিড়ম্বনা, তবু যেতে হবে মাসুহারা কেটে যাবে
ফুড়িয়ে যায় সব বাসস্থানে, পুঁজির শরীর হাইব্রিডের ষাঁড় যে
তরিতরকারির সবুজ ঘ্রাণ যাচ্ছে পুড়ে কড়া রোদে।

কোথায় জীবন যন্ত্রণার রক্তক্ষরণ?
লড়াই করে জীবন জ্বলে, হাসপাতালে ঐ শুভ্র খাটে
শরীর

একাত্তরের জননী দেখে যাও, মা
তোমার ছেলেরা পুঁজির বিভ্রম আদর্শের বলি, রাজপথে রক্তের হোলি
কত, আর কত মৃত্যুর লাশে, জন্ম হবে সুবর্ণ চেতনার বিনির্মাণ
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, এ যে তোমার সোনার দেশ মা’ গো।

তোমার আঁচলে সেই বনেদি সুখ পেয়ে মা গো
সেই সুখের

হেমন্ত মেঘ, তুই বড়ই বেয়ারা?
কেন যে কথা শুনিস না? ঘাপটি মেরে নীলের গায়ে
কেন যে লীন বেদনা আঁকিস? কিসের গন্ধে নেশায় মেতে?
স্বপ্নগুলো সব শিশির দিয়ে ঢাকিস।

আয় না গায়ের চাদর ছেড়ে,
রং বুনো ক্ষেতে নেশায় মেতে, চুঁইয়ে চুঁইয়ে কুয়াশার জলে
আইল পথের ধূসর ঘাসে,

নতুন মেঘের নতুন যৌবন নিত্যদিন রাত,
এর ব্রাত্যই ঘটে না কখনও, দিগন্তের গা ঢলে জড়িয়ে থাকে মিলনে
তার সাথে বাতাসও ফুলেফেঁপে উঠে, আবার ভাটার মত চুপসে যায়
তয় লীন হবার কালে নিত্য যাই ক্ষয়ে।

এই যে হাওয়া মেঘের বৃষ্টির খেলা,
নিত্য গ্রহন লাগা পৃথিবী জুড়ে,

একটা সময় ছিল মানুষের প্রতিপক্ষ,
প্রবাহমান পৃথিবীর নানা প্রতিবন্ধকতা, এখন মানুষের প্রতিপক্ষ মানুষ
মানুষ সব সময় অসহায় প্রাণী, তা তারা বার বার ভুলে যায়
অতীতের শিক্ষা বেমালুম ভুলে বসে থাকা চিত্ত সুখে।

এ কেমন ধৃষ্টতা? আজ মানুষ মানুষের শত্রু
নীতির বিড়ম্বনায় হত্যা, চাতুরতায় খুন রাহাজানি

খুঁজতে খুঁজতে অবিনাশি সুখ
ইটসুরকির ভাঁজে ভাঁজে দন্তে চিবানোর মত, বড়ই নাজেহাল
দুর্দশায় পায়ের চটি যাচ্ছে ক্ষয়ে, যেন সব জমছে কমলাকান্তের উইলে
পুরান সভ্যতার বিলীন অস্তিত্বে ঢেকে আছে যেন।

সব ক্ষুধা তৃঞ্চার লালা ঝরে ঝরে,
নিঃশেষ হউক সর্বাঙ্গ শরীর, অপয়া বিষ দর্পে গেয়ে উঠুক সবুজ

শুভ্র নীলে হেমন্ত যেন দাগ টেনেছে,
বেলা শেষে শিশির ঝরার মাদকতায়, আবছা আঁধার করে নিমন্ত্রণ
ছুয়ে যেতে চায় সাঁঝ লালিমায়, উত্তরের হালকা হিমেল বায়
সজনে পাতায় হাওয়ার কাঁপন ফড়িং ডানা গায়।

ঝাঁক বাঁধা শালিক দলে,
কিচির মিচির গানে, উনুন চালে উঠছে ধুঁয়া সাঁঝ ঘনালে পরে
চাল

সমাজ সংসার সময়ে মানুষ এখন,
খুব একটা আবেগ তাড়িত হয় না, সদ্য মৃত্যু অথবা বীভত্স দৃশ্য
অবলোকনে হয়তো মনে দাগ কাটে, সহজেই মন থেকে মুছে যায়
সময়ের কড়া নাড়া বিকট তাড়িত যোদ্ধা।

সেই মৃত্যুগুলো কি অপয়া?
যার রক্তপাতে সাধারণজনের চোখ ভিজে না, তাহলে মিথ্যা মৃত্যু?
সময়ের

go_top