Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

কতই তো দেখছি, শুনছি
বুঝছি। বয়সের সাথে চলতে চলতে
সময় যেন কেমন দ্রুত যাচ্ছে পাল্টে ।

মানুষে মানুষে বাড়ছে ভেদাভেদ
অন্তরে ক্রমশ:ই বাড়ায় খেদ ।

পাল্টে যাচ্ছে মানুষের ভাষা
রহস্যে ঘেরা সব, যেন সর্বনাশা ।

মানুষ গুলো সব মুখোশধারী
দেখে যাই মুখোশ পড়ে চলছে সারি সারি ।

ভাষা নকল,

মধুর বীণা বাজে প্রাণে
দুহাতে বুকে জড়ালে..
আত্মায় শান্তি আনে।

দিনভর প্রাণ তৃষিত
থাকলে নজরের আড়ালে
কাজ কম্ম সব বিষিত….

কর্তব্যের খাতিরে
শুন্য বুক নিয়ে
হতে হয় ঘরের বাহিরে….

মা হীন সারাবেলায়

সময় কাটে হেলাফেলায়
মত্ত থাক বুঝি দুজনে খেলায়…

খাঁ খাঁ করে অন্তর
এক সমুদ্দুর তৃষা
সময়ের গতি মন্থর…

বঞ্চিত সব আদর
আলোতে এক নদী

ছয়টি ছেলে দুইটি মেয়ে তার
ছিল না সে অতি দরিদ্র,
গ্রাম্য ডাক্তার হিসাবে বেশ নাম ডাক
পেশাটাও তো ছিল অতি ভদ্র।

কিন্তু মানুষ করতে পারেনি
সে তার আটটি সন্তান,
এলোমেলো আর তছনছ হয়
তাদের সাজানো উদ্যান।

এসবের পিছনে কারন ছিল একটাই
সবই ছিল ঠিক, শুধু ঠিক ছিল না তার

ওরা রাস্তার মানুষ; রাস্তাই তাদের ঠিকানা

রাস্তায় অলিগলিতে রাত্রি যাপন করে
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরাফেরা করে,
নোংরা জায়গায় বসে খানাপিনা সারে,
সেদিন দেখেছি ফ্লাইওভারের নিচে
মলিন ছেঁড়া পোশাক পড়া কিশোরী আর
গোটা তিন কিশোর নোংরা জায়গায় বসে নেশায় মগ্ন…
কিশোরগুলোর চুল ছিল উস্কোকুস্কো
মুখগুলোতে ছড়ানো দরিদ্রের কষাঘাত
গায়ে মাখানো এখানে

আমি ধুলো বালি ছাই
জোরে ফু দিলে নাই
উড়ে উড়ে, ঘুরে ঘুরে হেথা সেথা যাই
বসি গিয়ে কোথাও, যদি একটু জায়গা পাই
অন্যের অধীনে থেকে থাকি পড়ি খাই।

আমি এ্যাকুরিয়ামের মাছ
ঘরের শোভা বর্ধনের জন্য হয় চাষ
বন্দিত্ব জীবনে স্বাধীনতার নাশ
নিজের ইচ্ছে গুলোরে দিয়ে চাপা, করি বসবাস
এভাবেই

ইদানিং কোনো কিছুতেই মন টানে না
কি নেই কি নেই, সঠিকটা মন জানে না।

সব কিছুতেই আন্তরিকতার বোধ করছি অভাব
অভিনয়টা মানুষের হয়ে গেছে স্বভাব।

ভাবিনি চারপাশের মানুষগুলো বদলে যাবে এভাবে
ভাবনাতে আসেনি সময় আমাকেও এভাবে পাল্টে দিবে।

হ্যা, এখন আর কিছুতেই মন বসে না
কিছুতেই উল্লাসে

ক্ষমতার বড়াই করো না….
……………………কাজী ফাতেমা ছবি
=========================
আসছি ভবে যেতে হবে
বড়াই করে কে, রয়েছে কবে
দুনিয়া সত্য, জীবন মিথ্যে তবে
মেহমান হয়ে হেথা এসেছি সবে।

তুমি আমি, আমি তুমি
বাস দুদিনের, সাক্ষী ভূমি
মরিচিকার পিছনে মিথ্যা ভ্রমি
শেষ ঠিকানা তিন হাত জমি ।

বিভবের আশে অন্যায়ে জড়াই
যতই জ্বলমল অট্টালিকা

মধুর সুরের গান; ভেজায় আমার প্রাণ
সুরের টানে; আবেগ আনে
চোখে জল; করে টলমল
সুরে যে কি সম্মোহ; হই মুহুর্তে বিমোহ
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি;
শব্দে শব্দে ঝরে যেন মধু রাশি রাশি।
সুরে প্রাণে অযস্র তৃপ্তি; সুখে জেগেই চোখ যায় সুপ্তি।
শান্তি বটের ছায়ার মতই;

কয়দিন যাবৎ মাথাটা খাচ্ছিল সীনটা
মা, আমাকে একটা পতাকা কিনে দিবে?
বিজয় দিবসে বারান্দায় টানাব;
শুনে মীমও বলছিল আমারও কিন্তু লাগবে একটা মা,
লাল সবুজ পতাকা অনেক ভালবাসি মা,
কাল অফিস হতে ফেরার পথে নিয়ে এসো কিন্তু,
হন্যে খুঁজেছি পথে ঘাটে এই কয়দিন
কোথাও বৃদ্ধ চাচাকে দেখিনি
কাঁধে

যার যেমন ইচ্ছা সে চুপ করে থাক
আমি বাবা এসব চুপাচুপির মধ্যে নাই
বকবকিয়েই যাব আমি;
পাখিদের সাথে কিচির মিচির,
বিড়ালের সাথে মিয়াও মিয়াও
চিড়িৎ চিড়িৎ চড়ুইর সাথে
টম জেরীরে নিয়া হেরে গলা ছেড়ে দিয়ে
গাইবই আজ জোরে সোরে।

যার যেমন ইচ্ছা, কাটাক না সময় আলসেমীতে
আমি বাবা অলস

go_top