Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

জামাইবাবাজী রীতিমত ভদ্রলোক হয়ে গেছে।

গলায় সোনার চেন।পরনে বারমুন্ডা প্যান্ট। গেঞ্জীর কলার তুলে

মটোর সাইকেল চালায়।

বুক ভরে ওঠে আমোদ সেখের।সেই সাথে দীর্ঘশ্বাসও পড়ে বুক

চিরে। এই জামাইকে কত দিন গরুপেটা করেছে সে।

জামাইয়ের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায় আমোদের ভটভটি। জামাই

চোখ তুলে দেখেও না।মটোর সাইকেল

 

-বড় বৌমা, বড় বৌমা, তোমার বাপের বাড়িটা কোথায় যেন?

শ্বশুরকে রান্নাশালের দিকে আসতে দেখে মাথার আঁচল ঠিক করল জোহরা। তারপর মৃদু হেসে বলল—কুসুমপুর। এরই মধ্যে ভুলে গেলেন আব্বা! এই তো গতমাসে বেড়িয়ে এলেন কুসুমপুর থেকে।জোহরার কথায় মাথা চুলকান ওসমান। জ্বিভ কেটে বলেন—হ্যাঁ, হ্যাঁ,

আগে লোকে গাড়ি বলতে গরুর গাড়ি বুঝত।

এখন মানুষগুলো গরু হয়ে যাচ্ছে,তাই গরুর গাড়ি নিখোঁজের তালিকায়।

চারচাকার মোটরগাড়ি গুলোয় এখন গাড়ি।

শাওনের পাশ দিয়ে হুশহাশ চলে যায় ঝকমকে গাড়িগুলো।

শাওন আমেদ জীবনবীমার দালাল।দশ বছরের এজেন্ট হিসেবে তার যেমন উপার্জন হওয়ার

কথা ছিল,হয়নি। কারণ মিথ্যে ছাড়া

ছায়াটা নড়ছে। চলছে। কখনও সামনে, কখনও পেছনে। দেখছেন বটেশ্বর। ঘাড়

ঘুরিয়ে মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছেন না। ভূত নয়ত ?

ঘাড় মটকালে বিপদ। স্পন্ডেলাইটিস বড় ব্যথা দেয়। একে তো পায়ের ব্যথায়

কাহিল। খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। ঘাড় মটকানি নিশ্চয় আরো যন্ত্রণার!

রাস্তা ছেড়ে এবার গলিপথ ধরলেন বটেশ্বর। তখনই

বাস থেকে নেমেই আয়েশার চপ্পল ছিঁড়ে গেল। ফিতে ছেঁড়া চপ্পল নিয়ে হাঁটা

যায় না।এদিক-ওদিক তাকিয়ে সে চপ্পল খুলে পলিথিনের ব্যাগে ভরল।খালি

পায়ে হাঁটতে শুরু করল পিচ রাস্তায়।

বর্ষাকাল।সকালের রোদ।তবু পিচ রাস্তা তেতে গেছে।হাঁটতে ইচ্ছে করছে না।

তবু বেশ জোর পায়ে হাঁটছে আয়েশা।চেষ্টা করছে যত

বেগুনতলীর সঙ্গে পটলপুরের খুব আঁকশা-আঁকশি চলছে।অবস্থা খারাপ হতে-হতে

থানা-পুলিশ অব্দি গড়িয়েছে। থানার বড়বাবু গোঁফে তা দিচ্ছেন আর বলছেন,দুই

গাঁয়ের কুকুর-শেয়ালও রেহায় পাবে না। সবাইকে লক-আপে ভরে কাপড়-কাচা

করাব।কাকপক্ষীও টের পাবে আমি কি রকম জাঁদরেল বড়বাবু!

বেগুনতলী গ্রামের বেগুন জগৎবিখ্যাত।রং-চেহারা আর স্বাদে অতুলনীয়।

হাটে-বাজারে ফড়েরা হাঁকায়,আসুন

বাসব বাবুর বাবুর্চি

@ তুষার আহাসান

পুজোর ছুটিতে দেশের বাড়িতে এসে রাজনাথ একটা নতুন খবর শুনলেন।

দুপুরে ভাত খেতে খেতে ছোটভাই ব্রজনাথ বলল,জানো দাদা,তোমার বন্ধু

এখন নদীর জলের সঙ্গে কথা বলে?

বিষম খেলন রাজনাথ।সামলে নিয়ে বললেন,কেন বাসবের কি মাথার দোষ

দেখা দিয়েছে ?

মাছের মুড়োতে কামড় মেরে

চার মাথার মোড়ে এসে দিক ভুল করে ফেললেন আনিসুল।বুঝতে পারছেন না গাড়ি কোন রাস্তায় নিয়ে যাবেন।বিশ বছর আগে ফিরোজা আপার বিয়ের কনে যাত্রী এসেছিলেন এখানে । তখন অবশ্য বাড়িটা ছিল শহরতলীতে।এখন এই নতুন পাড়ায় বাড়ি করেছেন আপা।তাঁর মেয়ের বিয়ের সমন্ধ

go_top