এ দিকে উটন দাদুদের দলের সবার খিদে পেয়েছিল ভীষণ। বনে বনে ওরা ঘুরে ঘুরে দেখছিল যে কোন ফলমূল পাওয়া যায় কিনা–জঙ্গলে এ সবই পাওয়া যায়। তবে তা কোথায় পাওয়া যাবে তা কে বলে দেবে ? সামান্য চলেই ওরা দেখতে পেল
এদিকে উটন দাদুর দল বহু দূরে এসে পড়েছে। নিজেদের বাঁচাতে ওরা ঊর্ধ্ব শ্বাসে সামনের দিকে এগিয়ে চলছিল। পথে ওরা রাবুন ও নেচুকে হারিয়েছে। কিছুই করার ছিল না। ওদের বুনোদের কবল থেকে বেঁচে ফিরে আসা অসম্ভব। তবু ভাগ্য ভাল থাকলে,ওপরওয়ালার ইচ্ছে
নেচু শুরুতে প্রাণপণে দু হাতে আঁকড়ে ধরে ছিল গাছের ডাল। ওর এক পা ধরে বুনোরা টানছিল–ও আর গাছে অন্য পাটা ঠেকিয়ে রাখতে পারল না,সে পা ঝুলে পড়ল নিচের দিকে। এবার বুনোরা ওর দু পা ধরে হেঁচকা টান মারল। নেচু নিজেকে ধরে রাখতে পারল
এমনি সময় দূর থেকে কিছু লোকের চীৎকার শোনা গেল। ওরা যেন এই মন্দিরের দিকেই আসছে। নবু,নেচু,শমী,বনুই ওরা সবাই ছুটে এসে মন্দিরের ভিতর ঢুকল। তার মধ্যে লেংড়া নেচুও আছে। ও নিজকে বাঁচাতে পড়িমরি করে দৌড়ে এসেছে। ওরা সবাই আধমরা লোকটাকে দেখে
কিছুটা গিয়েই নদী–আমাদের নৌকো কোন ঘাটে আছে তার কোন ঠিকানা ছিল না। আমি আর আমার সাথী দুইজনেই নদীতে ঝাঁপ দিলাম। দেখলাম নদীর পার থেকে বুনোরা আমাদের দেখে তীর মারা শুরু করেছে। বলতে বলতে একবার,আঁ,করে লোকটা তার কথা বলা থামিয়ে দিল…ওর
অসুস্থ বৃদ্ধ লোকটা চুক চুক পরে কলা চাটছিল। মনে হল কিছুটা কলা ও চিবিয়ে নিলো। উটন দাদু নেচুকে বাচ্চাদের কলা দিয়ে আসতে বলল। নিচু এত সাহস পাবে কোথায় ! দুটো কলা নিয়ে ও মাথার ওপরে তুলে ধরল। আর ওই পুরুষ
কিন্তু কাসনি গ্রামে যাবে কি ভাবে! সে অভিযান যে বড় কঠিন। মৃত্যু সেখানে শিয়রের পাশে ঘোরে। সেখানে গেলে আর কি উটন ফিরে আসতে পারবে এই তিন্তারি গ্রামে? না হোক ফেরা, তবু অভিযানের নেশা বড় নেশা–সে জীবনের অনেকখানি সময় তো মৃত্যুর