তারপর পঞ্চাশটা বছর কেটে গেছে–এক ছন্নছাড়ার জীবন কাটিয়ে এ গ্রাম,সে গ্রাম,এ বসতি, সে বসতি ঘুরে–কত কত বনে জঙ্গলে দিন কাটিয়ে এখন যেখানে সে এসেছে সে জাগার নাম তিন্তারি। বস্তারের ঘন জঙ্গলের মাঝে এ গ্রামের অবস্থান। বস্তার শহর এখান থেকে কম
এক সপ্তাহ পরে হসপিটালের লোকরা সেই কালো কুচকুচে বাচ্চাটিকে বিটেন সাহেবের বাংলোতে দিয়ে গেল। খুব কান্নাকাটি করছিল ছেলেটি। ওর বাপ,মা,ঘর-গ্রামের কথা সে কিছুই বলতে পারছে না। বিটেন ও তাঁর স্ত্রী ছেলেটিকে নিয়ে ভাবনায় পড়লেন। আদিবাসী দারোয়ান রক্ষীরাও ওর ভাষার বিন্দু বিসর্গ
বিটেন সাহেবের আর এক দিনের শিকারের কথা বলতে হয়। বস্তারের সেই ঘন জঙ্গল,সঙ্গে সেই তিন আদিবাসী পাণ্ডার দল। সাহেবের দেহরক্ষী বললে চলে। সাহেবের আদিবাসী লোকগুলিকে শিকারের সঙ্গী বানাবার কারণ আছে বৈ কি! এক তো ওরা শক্তিশালী হয়। প্রয়োজনে সাহেবকে বাঁচাতে অপেক্ষাকৃত
(গল্পটির ঘটনাক্রম ভাবনা প্রসূত। এর ঐতিহাসিক কোন প্রেক্ষাপট নেই। তবে স্থান কাল পাত্রের রূপরেখা কোথাও কোথাও সত্যকে ছুঁয়ে আছে এটা বলতেই হবে। এ ছাড়া ভাবনাকে বাস্তবতায় দাঁড় করাতে ভাব-ভাষার সাজ-সজ্জা যথাযথ রাখার চেষ্টা করা তো লেখকের ধর্ম।)