এই ব্লগটা চালু করা হয়েছিল সাহিত্যের জন্য। আমি যতদুর জানি। অনেকে কমেন্ট করেছে হয়তো একদিন এই চলন্তিকাই দেশের সকল লেখকদের জন্য তীর্থস্থান হবে। আমিও সেদিন সেই আশাই করেছিলাম। সব পোস্টগুলো ছিল সাহিত্য কেন্দ্রীক। সম্পাদকের চিরকুটে স্পস্ট করে লেখা আছে ”
মেঘ ছিঁড়ে ছিঁড়ে চিঠি পাঠায় চাঁদের স্বরলিপি
সবুজ সংকেতে জাগে মাটির উৎসব
জলের চিকন গায়ে মাছের যাত্রাপালা
মগজে ফেনিয়ে ওঠে কালের উইঢিপি।
দৃষ্টিসুখ আলস্যের সুরে বাজা বাঁশী
নোলক-পরা কিশোরীর হাতে
ঘুমখোলা চোখের স্বপ্নসম্ভার
সবুজেই বেঁচে ফেরে স্বপ্ন অবিনাশী।
অযথা নিরবতা কখনও আসে ধীর পায়ে
পাখি উড়ে যায়
আমি কে,প্রশ্ন রাখে
স্থির
আলোক-সন্ধ্যায় রোজ রাজপথ ছাড়ি
সুলভের হাতছানি ঘুঙুরে-মাদলে
আলে শুয়ে থাকা কাদমাটি-জোছনা
কুয়াশায় ভিজে যাওয়া বৃষ্টি-আদলে।
বিষুবরেখায় জাগে জীবনের পাকদন্ডী তপস্যা-পাথর
চোখের ভেতর ওড়া প্রজাপতি ধরি
বেহিসেবী কথা বলে ঝিনুকে-শামুকে
জল ছিটিয়ে ভেঙে দিই আলো বিভাবরী।
বুনো ঘোড়ার শব্দে জাগে রাত
তারার কাছেই ছিল ভোরের সুখবর
ধানজমি কথা দেয় উর্বরতার অবকাশে
পাখির
একটা কাগজ বাতিল করলে
দ্বিতীয় কোথাও পাঠাই না, তা
এমন অভ্যাসে হারিয়ে গেল ২৭ বছর।
শব্দের জাদুটোনায় বশ হইনি
শিকারীর শব্দজাল খুঁজিনি
প্রজাপতি উড়ে গেছে চোখ বরাবর।
মৌমাছি গুনগুন করে
মৌচাক চোখ ধাঁধায়
নিরবে দেখি সাতনলাদের লোলুপ নখর।
বাজে অভ্যাসে শীত কাটে
বর্ষা ভাসে
রোদ জানান দেয় গরম খবর।
যাপনের বালিশ-কাঁথায়
ঘরপোষা মশার
আমাদের ঘর-বারান্দা ভাঙা জানালায়
জ্যোৎস্না-সোপান।
নড়বড়ে খিল কপাট নাচায়
পোষা-পায়রার চুটকি উড়ান।
আমাদের হোঁচট খাওয়া
জিনে-পাওয়া,সুখ-চৌকাঠ।
সবুজ-সুর নাচিয়ে ফেরে
ফসল-ভরা মাঠ।
আমাদের আঙুল-ভাঙা পেরেকগুলো
বিছানায় সিঁধিয়ে থাকা ডাইনী-ধূলো,
টালির চালে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন যেন।
মালির মতই গাছের যতন
ফুল-ছোঁয়ানো অরুপ রতন
জায়নামাজে গান গেয়ে যায়,অশ্রু হেন।