Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

এই ব্লগটা চালু করা হয়েছিল সাহিত্যের জন্য। আমি যতদুর জানি। অনেকে কমেন্ট করেছে হয়তো একদিন এই চলন্তিকাই দেশের সকল লেখকদের জন্য তীর্থস্থান হবে। আমিও সেদিন সেই আশাই করেছিলাম। সব পোস্টগুলো ছিল সাহিত্য কেন্দ্রীক। সম্পাদকের চিরকুটে স্পস্ট করে লেখা আছে ”

মেঘ ছিঁড়ে ছিঁড়ে চিঠি পাঠায় চাঁদের স্বরলিপি

সবুজ সংকেতে জাগে মাটির উৎসব

জলের চিকন গায়ে মাছের যাত্রাপালা

মগজে ফেনিয়ে ওঠে কালের উইঢিপি।

 

দৃষ্টিসুখ আলস্যের সুরে বাজা বাঁশী

নোলক-পরা কিশোরীর হাতে

ঘুমখোলা চোখের স্বপ্নসম্ভার

সবুজেই বেঁচে ফেরে স্বপ্ন অবিনাশী।

 

অযথা নিরবতা কখনও আসে ধীর পায়ে

পাখি উড়ে যায়

আমি কে,প্রশ্ন রাখে

স্থির

এই তো আমি হাত পেতেছি তোমার কাছে

এ হাত ছুঁয়েই বৃষ্টি নামে,বর্ষা আসে।

 

দাবানলের ভাগ্যে চিরকাল আগুন লেখা থাকে

সৌভাগ্যে কখনও জল-লেখা হয়

বৃষ্টি রেখার অযুত পাকে।

 

কর্মরেখায় কখনও শামুক,কখনও ঝিনুক

মুক্তো হাসে তরলিত স্পন্দনে।

তোমার হাতে সুখ-সমুদ্রের শাপলা-শালুক

দাও ছড়িয়ে মানবতার বন্ধনে।

*

আলোক-সন্ধ্যায় রোজ রাজপথ ছাড়ি

সুলভের হাতছানি ঘুঙুরে-মাদলে

আলে শুয়ে থাকা কাদমাটি-জোছনা

কুয়াশায় ভিজে যাওয়া বৃষ্টি-আদলে।

 

বিষুবরেখায় জাগে জীবনের পাকদন্ডী তপস্যা-পাথর

চোখের ভেতর ওড়া প্রজাপতি ধরি

বেহিসেবী কথা বলে ঝিনুকে-শামুকে

জল ছিটিয়ে ভেঙে দিই আলো বিভাবরী।

 

বুনো ঘোড়ার শব্দে জাগে রাত

তারার কাছেই ছিল ভোরের সুখবর

ধানজমি কথা দেয় উর্বরতার অবকাশে

পাখির

একটা কাগজ বাতিল করলে

দ্বিতীয় কোথাও পাঠাই না, তা

এমন অভ্যাসে হারিয়ে গেল ২৭ বছর।

 

শব্দের জাদুটোনায় বশ হইনি

শিকারীর শব্দজাল খুঁজিনি

প্রজাপতি উড়ে গেছে চোখ বরাবর।

 

মৌমাছি গুনগুন করে

মৌচাক চোখ ধাঁধায়

নিরবে দেখি সাতনলাদের লোলুপ নখর।

 

বাজে অভ্যাসে শীত কাটে

বর্ষা ভাসে

রোদ জানান দেয় গরম খবর।

 

যাপনের বালিশ-কাঁথায়

ঘরপোষা মশার

আমাদের ঘর-বারান্দা ভাঙা জানালায়

জ্যোৎস্না-সোপান।

নড়বড়ে খিল কপাট নাচায়

পোষা-পায়রার চুটকি উড়ান।

 

আমাদের হোঁচট খাওয়া

জিনে-পাওয়া,সুখ-চৌকাঠ।

সবুজ-সুর নাচিয়ে ফেরে

ফসল-ভরা মাঠ।

 

আমাদের আঙুল-ভাঙা পেরেকগুলো

বিছানায় সিঁধিয়ে থাকা ডাইনী-ধূলো,

টালির চালে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন যেন।

মালির মতই গাছের যতন

ফুল-ছোঁয়ানো অরুপ রতন

জায়নামাজে গান গেয়ে যায়,অশ্রু হেন।

জামাইবাবাজী রীতিমত ভদ্রলোক হয়ে গেছে।

গলায় সোনার চেন।পরনে বারমুন্ডা প্যান্ট। গেঞ্জীর কলার তুলে

মটোর সাইকেল চালায়।

বুক ভরে ওঠে আমোদ সেখের।সেই সাথে দীর্ঘশ্বাসও পড়ে বুক

চিরে। এই জামাইকে কত দিন গরুপেটা করেছে সে।

জামাইয়ের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায় আমোদের ভটভটি। জামাই

চোখ তুলে দেখেও না।মটোর সাইকেল

 

-বড় বৌমা, বড় বৌমা, তোমার বাপের বাড়িটা কোথায় যেন?

শ্বশুরকে রান্নাশালের দিকে আসতে দেখে মাথার আঁচল ঠিক করল জোহরা। তারপর মৃদু হেসে বলল—কুসুমপুর। এরই মধ্যে ভুলে গেলেন আব্বা! এই তো গতমাসে বেড়িয়ে এলেন কুসুমপুর থেকে।জোহরার কথায় মাথা চুলকান ওসমান। জ্বিভ কেটে বলেন—হ্যাঁ, হ্যাঁ,

এই তো আমি হাত পেতেছি তোমার কাছে

এ হাত ছুঁয়েই বৃষ্টি নামে,বর্ষা আসে।

 

দাবানলের ভাগ্যে চিরকাল আগুন লেখা থাকে

সৌভাগ্যে কখনও জল-লেখা হয়

বৃষ্টি রেখার অযুত পাকে।

 

কর্মরেখায় কখনও শামুক,কখনও ঝিনুক

মুক্তো হাসে তরলিত স্পন্দনে।

তোমার হাতে সুখ-সমুদ্রের শাপলা-শালুক

দাও ছড়িয়ে মানবতার বন্ধনে।

*

আগে লোকে গাড়ি বলতে গরুর গাড়ি বুঝত।

এখন মানুষগুলো গরু হয়ে যাচ্ছে,তাই গরুর গাড়ি নিখোঁজের তালিকায়।

চারচাকার মোটরগাড়ি গুলোয় এখন গাড়ি।

শাওনের পাশ দিয়ে হুশহাশ চলে যায় ঝকমকে গাড়িগুলো।

শাওন আমেদ জীবনবীমার দালাল।দশ বছরের এজেন্ট হিসেবে তার যেমন উপার্জন হওয়ার

কথা ছিল,হয়নি। কারণ মিথ্যে ছাড়া

go_top