Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

শ্রাবন্তী চুলে বেণী করবে।মাকে ডাকছে।
-মা,মা?
এমন সময় প্রচণ্ড আলোতে চোখ ঝাঁঝিয়ে গেল।কিছুক্ষণ চোখে কিছু দেখতেই পেল না।চারদিকে যেন প্রচণ্ড অন্ধকার।মিনিট দশেক পর।সবকিছু আবছা আবছা দেখছে।সবকিছু কেমন জানি এলোমেলো লাগছে।আশেপাশে সবকিছু তার বড় অচেনা লাগছে।চারপাশে ভাল করে দেখল।পিছনে তাকাল।তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল।তার

হিপ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল।টিপ বলল-তুমি আজ হতে ইনএক্টিভ হয়ে যাবে।এখন হতেই।
হিপ কথা বলতে যাবে,এমন সময় ডিএক্টিভেট করে দেওয়া হল।শ্রাবন্তী মুখটা কিছুটা বিবর্ণ করে বলল-সামনে আমাদের বিপদ।
মহামান্য টিক বলল-কিভাবে বুঝলে?
-আমার মনে হচ্ছে।
-মনে তো অনেক কিছুই হয়।
ফিক মৃদু কন্ঠে বলল-জানেন তো,ওর

আফিয়া কিছুটা ভেবে বলে-আমার তো অন্যরকম মনে হচ্ছে।
-কি রকম?
-আমরা সম্ভবত পৃথিবীর দিকে যাচ্ছে।
-মানে কি?
-আমাদের নভোযানের গতিপথ কেউ ঘুরিয়ে দিয়েছে।ঘুরিয়ে একেবারে অপোজিট করে দিয়েছে।
টিক উদ্বিগ্ন হয়ে বলে-এসব কি বলছ?
-কম্পাসের মুখ দেখে আসলাম।পৃথিবীর দিকে ঘুরানো।
-তাহলে তো উলটো দিকেই যাচ্ছে।
-রাডারটাও ডিএক্টিভেট করা।
-সেজন্যই তো

-মজার মানে খুবই মজার।আপনি কখনো নৌকায় করে ভরা পূর্ণিমায় ঘুরে বেরিয়েছেন?
ফিক আবার মাথা নেড়ে না বাচক উত্তর দেয়।
-কি বলেন,এমন চমৎকার সুন্দর দৃশ্য মিস করেছেন!পৃথিবীতে এমন সুন্দর দৃশ্য আর হয় না।বিলের চারদিকে থইথই করা পানি।আকাশে রূপালী চাঁদ।চাদের রূপালী আলোয় ঝিকমিক করছে

-শুধু মাত্র একটি মেয়ের জন্য তাদের সমস্ত জ্ঞান দিবে,এটা আমাদের জন্য খুব বেশি প্রাপ্তি হল না?
টিক মুচকি হেসে বলল-তাতো বটেই।অতি সভ্য ও উন্নত প্রাণী বলে কথা।
-মহামান্য টিক,আমি যা বলতে চেয়েছি,তা বুঝতে পারেন নি।
-এভাবে পেঁচিয়ে কথা না বলে সরাসরি বল।এত পেঁচালে

টিক শুরু করলেন।
-মহামন্য পৃথিবীর অসাধারণ মেধাবীগণ,সবাই আশা করি ভাল আছেন।আমি অতি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে,টিনডিমুটা গ্রহের প্রাণিরা ইতিমধ্যে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে।তারা বলেছে,আর কয়েকদিন গেলেই আমরা তাদের দূরত্ব সীমার মধ্যে চলে যাব।তাই আমাদের পনেরো বিশদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।তিন চারদিন

-তোমার সাথে পরিচয় হবার পর,১৪ সংখ্যাটি আমার খুব প্রিয় হয়েছে।আমার কেন জানি মনে হয়,এই সংখ্যার সাথে তোমার জীবনের সুন্দর কোন ঘটনা জড়িত।
-আপনার মাথায় কি এসব আউলফাউল চিন্তা সবসময় ঘুরতেই থাকে?
-বোধহয় বেশি ভালবেসে ফেলেছি,তাই।
-পড়াশুনা কি একেবারে চুলায় দিলেন?
-দিলাম।ও করে আর কি

অবশ্যই।গত পহেলা বৈশাখে তুমি সেজেগুজে শাড়ি পড়ে বের হলে,কিছুক্ষণ পর মোহিত কল দিয়ে বলে,শু,আজ খুব খারাপ লাগছে।আমরা বরং অন্যদিন বের হব।পরের দিন,দুজনে ঘুরতে বের হলে। এত তাড়াতাড়ি শরীর ভাল হয়ে গেল?
-কোন কোনদিন খারাপ লাগতেই পারে।এরকম তো আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে,কিছুতেই বিছানা

তারা দুজনে গভীর আগ্রহ নিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে আছে।পৃথিবীর প্রতি যে এত ভালবাসা,এই প্রথম দুইজনে বুঝতে পারল।ক্রমেই পৃথিবী অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।ফিক বলল-হাতটা নাড়া।
দুইজনে হাতটা নাড়িয়ে পৃথিবীকে বিদায় জানাচ্ছে।হাত নাড়াতে নাড়াতেই পৃথিবীকে আর দেখা যাচ্ছে না।ফিক বেশ বড় করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।শ্রাবন্তীর

শ্রাবন্তী কিছু বুঝতে পারছে না।পৃথিবীর বয়স বাড়বে এক-দুইশ বছর,অথচ তাদের বয়স বাড়বে মাত্র বিশ তিরিশ বছর?হতভম্ব হয়ে বলল-এটা কেমন কথা?
-এটাই কথা শ্রাবন্তী।পৃথিবীর সবকিছু আপেক্ষিক।
-এটা আবার কি?
-চিরন্তন বলে কিছু নেই।আগে অনেক কিছুই চিরন্তন মনে করা হত,যেমন সময়।আইনস্টাইন এসে এসব থিওরির পেটে

go_top