এই বলে শ্রাবন্তী রুম হতে বের হল।স্পেসের এক প্রান্তে এসে দাড়ায়।স্বচ্ছ কাচের ভিতর দিয়ে আকাশ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।গোলাকার,ডিম্বাকার বেশ কিছু গ্রহের ঘূর্ণন দেখা যাচ্ছে।মাঝে মাঝে কিছু কিছু মেঘ এদিক ওদিক ঘুরাফেরা করছে।মেঘগুলো খুব বেশি সাদা মনে হচ্ছে।পৃথিবী হতে নরমালি এত
শ্রাবন্তী কাছে গেল।
-কি যেন নাম তোমার,সুবন্তী?
-না ম্যাডাম শ্রাবন্তী।
-ও শ্রাবন্তী।মনে পড়েছে।আর শুন,আমি কি তোমাকে কখনো পড়িয়েছি?
-না।
-তাহলে তুমি আমায় ম্যাডাম ডাকছ কেন?
-আপনাকে কি বলে ডাকব?
-নাম ধরে ডাকতে পার অথবা আপু বলতে পার।
-আপনার নামটা কি?
-আফিয়া আহমেদ।
-আফিয়া…
এইটুকু বলতেই আফিয়া বেশ বড় বড় করে তাকায়।
-আফিয়া
শ্রাবন্তী মুচকি হেসে বলে-তাহলে তো আমি সাধারণ কেউ নয়।
ফিকও হেসে বলে-সাধারণ কেউ নও,অতি সাধারণ একজন মানুষ।সেটা কিন্তু আগেই বলেছি।
-বোধহয় বলেছেন,ঠিক খেয়াল নেই।
-তোমাকে একটা বিস্ময়কর তথ্য দেয়।প্রত্যেক মানুষের তেশজোড়া ক্রোমসোম থাকে।কিন্তু পৃথিবীতে তুমিই একমাত্র মানুষ যার একজোড়া বেশি ক্রোমসোম আছে।বিজ্ঞানীরা জোর
শ্রাবন্তী চুলে বেনী করবে।মাকে ডাকছে।
-মা,মা?
এমন সময় প্রচণ্ড আলোতে চোখ ঝাঁঝিয়ে গেল।কিছুক্ষণ চোখে কিছু দেখতেই পেল না।চারদিকে যেন প্রচণ্ড অন্ধকার।মিনিট দশেক পর।সবকিছু আবছা আবছা দেখছে।সবকিছু কেমন জানি এলোমেলো লাগছে।আশেপাশে সবকিছু তার বড় অচেনা লাগছে।চারপাশে ভাল করে দেখল।পিছনে তাকাল।তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল।তার
মহাবিজ্ঞানী তিতি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন।
পূর্ণিমার চাঁদ দেখছেন।একটি অসাধারণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
হঠাৎ তার মনে দুই একটা কবিতার লাইন সৃষ্টি হচ্ছে,এমন সময় পিএস আসল।
মুখে এক ঝলক হাসি।বলল-স্যার,কেমন আছেন?
মহাবিজ্ঞানী তিতি যে মহাবিরক্ত তা তার মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝা যাচ্ছে।তিতি বললেন-বলে ফেল
-স্যার বাংলাদেশ