Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

হুমায়রা হিমি যেদিন তুমি চলে গেলে
দুর্বার বেগে আপনার দু পদে দলে ;
অর্ধ যুগের তিলে তিলে গড়া নিবিড় প্রীতির বন্ধন
করিতে ছিন্ন তোমার চিত্তে হয়নি কি সামান্য কম্পন ?

তছনছ করিছ সবি সর্বনাশী ঝড় বেশে
অতীত সুদূরে ঠেলে এ হৃদয়ে অহ্নি জ্বেলেছ হেসে হেসে

একদিন আমি যাব

হয়তো রাঁমধনু মাখা একটি কুসুম বেশে
লভিবে অনাবিল সুখ স্পর্শ সুবাসে ;
সুদূরে নহে তোমার বারান্দার পুষ্প টবে
কোন প্রাতে অনায়াসে মোরে হেরিতে পাবে ।

কুসুম পাপড়িতে মিশে রবো
একদিন আমি যাব ।

ভেসে যাব পবন ভেলার পালকিতে চড়ে
আচমকা অগ্রে খাড়াব নিশ্চল শান্ত বিমূর্ত

হিমি ,
ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ে ঐ দিবসগুলো
যা বহু দূরে চলে গেছে ;
এক লাথি মেরে বক্ষ পিঞ্জর ভেঙ্গে ।
অসীম দূরে
আমার বেজায় মনে পড়ে ।

দু’চোখে ভেসে ওঠে সেই ক্ষণ
এক সঙ্গে পাঠশালায় গেছি দু’জন ;
এক সঙ্গে খেয়েছি একই বই পড়েছি ।
মনে পড়ে কি

যতদিন আমাকে মনে পড়িবে
হৃদয়ের অজান্তে ভুল করে কিংবা
জীবন ডায়েরীর কোন ছিড়া পৃষ্ঠা
স্মরণ করে দেয় ।

তবে নিশ্চিত হবে তোমার প্রতি আমার
প্রেমের উত্তাল তরঙ্গ
বর্ষার খর স্রোতের ন্যায় প্রবাহমান ।
আমার হৃদয় সাক্ষ্য দিচ্ছে আর
প্রেম বৃক্ষটির শাখা-প্রশাখা পত্র
মূল মূলরোম রাইজয়েড শিকর স্টোমাটা ;
প্রতি অঙ্গ

এই তো বেশ আছি !

ফুটো ডিঙ্গি তরী প্রবল কল্লোল উত্তাল
বিনা পাল কূলহীন ডুবো ডুবো বেসামাল ;
জল ভরো ভরো নেই সেচ পাত্র
নিরুপায়!আছে ভঙ্গুর বৈঠা মাত্র ।

এই বুঝি ডুবে যাচ্ছি !

গাঙ্গ ভাঙ্গন হেরিছ?শ্রবণ করিছ নৃশ্বংস ধ্বনি ?
অজুত তটিনী এ বক্ষে বহমান অহন

আজও কি মোর টান তোমার চিত্তে বাস করছে ?
বেওয়ারিশ হৃদয়ের জানতে হয় বড় ইচ্ছে
সেই ভালবাসার কথা মনে কি পড়ে ?
দু’বার এসেছিলে সব কিছু ছেড়ে ।
মাতৃ পিতৃ স্নেহ দূরে ঠেলে দিয়ে
হৃদয় সমুদ্র পূর্ণ প্রেম প্রীতি নিয়ে ;
পৃথিবীর সবি ছিল তোমার পর
আমি

এ সুন্দর ধরায় আছে সবার নাম
নাম হীন কিছুই পাবেনা তুমি ;
আসলে নামের নাই কোন দাম
মোর প্রিয় নাম হুমায়রা হিমি ।

শিরিন লাইলি বনলতা পার্বতী কত রজকিনী
সবি নাম চিরতা পত্র হিমিকেই শুধু চিনি ;
কত খ্যাত-বিখ্যাত নাম লিখিত ইতিহাস পত্রে
তোমার নাম অমুছিত খুদিত

তোমায় পাবার স্বপ্ন আকাশ কুসুম কল্পনা
যেন উত্তরে কিংবা দক্ষিণে রবি উঠার ভাবনা ;
তোমাকে চাওয়া হবে এতটাই ভুল
দুষ্কর পাওয়া যেমন বাঁশের ফুল ।

ভানু রাজ্যে গমন ভাবনা মানুষের নাই
তার উষ্ণ কিরণে জ্বলে পুড়ে হবে ছাই ;
তেমনি তোমায় পাব এ কল্পনা অভিন্ন
তোমার জগত

আমার কষ্ট সমষ্টি তরি গড়ে
ভাসিয়ে দিলাম তরঙ্গপরে ;
একদিন পৌছিবে তোমার নিবাস ঘাটে
তোমার সমূখে পড়িবে বটে ।

মন ভরে দেখিও সেই তরী
কত যতনে করেছি তৈরী ;
যাতনার সনে দুঃখ জোড়া লাগিয়ে
তোমার স্মৃতিগুলো প্যারেক বানিয়ে ।

গড়েছি এ নাও
তুমি কি দেখিতে পাও ?

নায়ে রং করা

ভাল আছ নিশ্চয় ?

থাকো , কোন হিংসা নেই এ চিত্তে
সুখের ঢল নামুক তোমার জীবন বৃত্তে ;
যে আশ্বে নরক ত্যাগিয়ে গিয়েছ স্বর্গে
সকল স্মৃতি ঠেলে দিয়ে মর্গে ।

তা পূর্ণ যেন হয়

জীর্ণ কুটিরে বসত অজস্র যাতনার
অভ্র চুম্বি কেল্লা যেন সুখের পাহাড় ;
বড় বেশ

go_top