Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

মামুুজান জেেনে যাও আসছি তোমার বাড়ি
করতে সাবাড় সবাই মিলে খেঁজুর রসের হাড়ি।
মামী যেনো মজার মজার তৈরী করে পিঠা
পেটটি পুরে খেয়ে যেনো বলতে পারি মিঠা।
পুকুর হতে ছোট বড় তাজা মাছ ধরে
ক্ষেতের তাজা শাকসব্জী রেখো রান্না করে।
সন্ধ্যে হলে লেপ কাঁথা গায়ে মুড়ি

৩য় পর্ব

_______________

 

 

গুড মর্নিং শুভ।

গুড মর্নিং মামা। কেমন আছেন?

আমিতো ভাল আছি। তোমরা কেমন আছ?

জি মামা, আমরাও ভাল আছি।

আজ কি বার মামা?

হ্যা ভাগ্নে, জানিতো আজ শুক্রবার।

তাহলে আজ কি হবে?

হ্যা হবে। তবে আজ রাতে নয়। আজ হবে দুপুরে খাওয়ার পর।

ঠিক আছে মামা তাই

শেষ বিকেলের স্বস্তি

হ্যলো ‘আমি হীরা বলছি’ ।
কথাটা শোনার সাথে সাথে স্বতঃস্ফুর্ততায় মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল জরার , কে ! কে বলছেন ?
আবার একই কথা শোনা গেল , ‘আমি হীরা বলছি’ ।
কিছুক্ষন নিরুত্তর থাকলেন জরা । এতদিন , এতদিন পর শুনলেন

আজ আপনাকে বোধ হয় বড় একেলা
উদাসী চিত্তে কিছুই ভাল লাগে না ;
তোমার সঙ্গ লাগি হয়েছি উতলা
কোন কার্যে হৃদয় বসে না ।

হ য ব র হেরি কেন সবি ?
ধু ধু মরু লাগে সুন্দর ধরণী ;
মুক্ত দাঁতে হাসে না তো রবি
কেন মিষ্টি

কল্পনায় আজ কোথায় গিয়েছিলাম

জান?

আর্মস্টার্ডাম নেদারল্যান্ডের রুড গুলিট

এর দেশ সেই রুপকথার প্যালেসে।

আমরা দুজনে প্রাসাদের চারিদিকে

ঘুরে বেড়িয়েছি।

 

স্বপ্নসখা সেবার এই রোমন্টিক

অনুবাদ টা কি পড়া তোমার

আমি বললাম জান

কি মনে হচ্ছে এখন।

 

তুমি যেন ম্যাক্সিমিলিয়ান

ব্রিটিশ কাউন্ট আমি হেলেনা ট্র্যান্ট

জার্মান স্কুল শিক্ষয়েত্রী

স্বপ্ন সখা উপন্যাসের নায়ক নায়িকা।

 

এক ঘটনা

জানিনা কাল সকালের সুর্য

আমার জন্য কি বার্তা আনবে।

জানিনা সে কি হবে কিছু পাবার বা কিছু হারাবার।

জানি এটাই, কিচ্ছু বদলাবেনা আমার।

যেমন বদলাইনি তোমার সৃষ্ট গজবে।

 

রাতের আকাশে যখন চাঁদ থাকেনা,

আকাশটাকে কি মনে হয়না বড়ই একা?

দুর্বিষহ আঁধারে পতিত এক নিঃসঙ্গের প্রতিচ্ছবি।

এমনটাই তো চেয়েছিলে

দীনেশ হেসে হেসে এগোতে থাকে।যেন পৃথিবীর সবচেয়ে মজার কর্মকান্ডটা করছে।দীনেশ লুঙ্গির প্যাচ ধীরে ধীরে টান দিচ্ছে।
-দীনেশ,এটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না।একবার ছাড়া পেলে কিন্তু তোর খবর আছে।
সুমন বলে- তাড়াতাড়ি কর,আর ধরে রাখতে পারছি না।
-শৈল্পিক উপায়ে করত দে,যেন তেন মানুষের লুঙ্গিতো খুলছি

আমি কখনো ভাবিনি

এটাই আমাদের শেষ দেখা

আমি তো ভেবেছিলাম

এই শেষ দেখার পরেও আবার আমাদের দেখা হবে

এটা হতে পারতো কোন কফি শপে

অথবা বাস স্টপে; ব্যস্ত রাস্তায়

যখন তুমি অনেক ভিড়ে গা বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করতে

আবার হতে পারতো পার্কের এই বেঞ্চিতে

যার আসে পাশে অসংখ্য

কালনা

রাতের আঁধার কাটেনি তখনো ভালো করে । লোহাগড়া, নড়াইলগামী বাসটি ঢাকা থেকে এসে থামে ফেরিঘাট ‘কালনা’-য় । নদীর ঐপারে ফেরি, এপারে আসতে আরো প্রায় ঘন্টাখানেক সময় বাকী । চার/পাঁচ ঘন্টা বাসের সীটে বিরতিহীনভাবে বসে আছি, ক্লান্তিকর ভাবটা কাটাতে বাস থেকে

চাঁদের জ্যোৎস্না হয়ে

কেন?

অমাবস্যায় ডুব দিলি।

মৃদুমন্দ বাতাস হয়ে

কেন?

ঝড়ের রূপ নিলি।

তৃষ্ণার জল হয়ে

কেন?

বন্যায় ভাসিয়ে দিলি।

অমৃতের স্বাদ হয়ে

কেন?

গরলে ভরিয়ে দিলি।

হৃদয়ে বসত করে

কেন?

জীবন সঙ্গী না হলি।

একাকী আমায় ফেলে

কেন?

তুই অন্যের ঘরণী।

তোর ফেলে যাওয়া স্মৃতি

কেন?

আজও বিষধর নাগিনী।

go_top