(১)

বুড়ো কালে পেয়ার বাড়ে
জোয়ান কালে শুরু
শীতের কাঁপন করে আপন
গা ঘেষে শুয় বুড়ো।

(২)

দাদা দাদী আধা আধি
ভাগ করে শুয় কাথা
শীতের রাতে জড়াজড়ি
ভাবিস না ভাই যা তা।

(৩)

শীত এসেছে গীত ধরেছে
আমার বুড়ো দাদা
তিনটা লেপে শীত মানে না
দাদীর লাগি কাঁদা।

…………………………………………..

‘আমি তোমাকে নিশ্চিত করছি, এবারের মিশনের উপরই তোমার কমিশন নির্ভর করবে।’ মহামান্য কিরিজা মেপে মেপে কথা বলছিলেন। ‘প্রতিটি মানুষকেই তার জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে মানবিক আবেগকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কর্তব্যকেই বেছে নিতে হয়।’ অত্যন্ত ধীরগতিতে মহামান্য কিরিজা মানুষের কর্তব্যের

সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা
আমার সোনার বাংলাদেশ,
আহ! কি দারুণ
দেখতে লাগে বেশ।
আমার দেশের কৃষকেরা
মাঠে ফলায় ফসল,
মোটা কাপড় আর মোটা ভাত খেয়ে
হয় যে তারা সফল।
রঙ বেরঙের পাখ-পাখালি
করে যে মধুর গান,
তাদের গানে আমার দেশ
পায় যে, নতুন প্রাণ।
আমার দেশে শীত আসে
কাঁথা কম্বল দিয়ে
পিঠে খেতে ভাল

কাঁপছে শীতে, দাদা-দাদি, কাঁপছে জোয়ান-বুড়ো
বলছে দাদা, এ কিছু না, কাঁপন হবায় শুরু

ঝেংরা মেরে দাদি বলে, চুপ করেন তো চুপ
তিনটা লেপের তলে শুয়ে, ফেরাই যেমন খুব!

আমি লক্ষ শান্ত ঘুঘুর স্বপ্ন হতে চেয়েছিলাম।
তারা মেঘলা দিনে আনমনে ছাই রঙা মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকে,
তারা স্বপ্নের জাল বুনে মেঘের ভাঁজে ভাঁজে,
তারা ছাই রঙা মেঘের ভাঁজে স্বপ্নে দেখা পৃথিবী খোঁজে।

আমি লক্ষ শান্ত ঘুঘুর স্বপ্ন হতে চেয়েছিলাম,
আমি ভেবেছি যেদিন

আজ যে শিশু জন্মগ্রহন করলো তার মায়ের ভাষা শিখতেও প্রায় নয়মাস লেগে যাবে । তারপর প্রথম কথা হবে “মা” । সে মা জন্মদাত্রি মাকে নির্দেশ করেই ।মায়ের আচরন, মায়ের কথা সর্বপরি মাকে অনুসরন করেই বড় হয় একটি

আজকাল পড়ি না আর কবিতা

পড়েই বা কী হবে শুনি?

কবিদের এতটাই অধঃপতন

কবিরা কঙ্কালের ছবিতে কৌতূহল…

শব্দের বৃথা হাকাহাকি, অনর্থক মাতামাতি

আগামাথা–মাথামণ্ডু কিছুই যে বুঝি না!

অদৃশ্য বস্তুর চিহ্ন খুঁজা যেরূপ পণ্ডুশ্রম

আজকের কবিতাদেহ অশরীরী তেমন…

১ ফাল্গুন, ১৪১৯-

মানামা, আমিরাত

আমি মানুষ হিসেবে খুব একটা উওম প্রকৃতির এটা কখনোই মনে হয়নি আমার । বরং কিছু বদখত বৈশিষ্ট্য আমাকে সবময়েই নিজের প্রতি কিছু সন্দিহান করে রাখে । এমনকি বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যও খুব সুবিধার পর্যায়ের নয় । নিজেকে আমি কালো দাবী করি না

আমার ছোট সোনা মীম
রোজ খেতে চায় ডিম
স্কুলে চায়না যেতে
খেলায় থাকে মেতে ।

যখন তখন যথা তথা
শুধু তাঁর টাকার কথা
না দিলে মুখটা ভারী
নিত্য তাঁর এমন আড়ি ।

রোজ রোজ লাগেনা ভালো
মুখটা এমন করলে কালো
ফেলে দিয়ে ভাঙ্গে আয়না
তবু রিমোট ভাঙ্গার বায়না ।

-সমাপ্ত-
তারিখ :   ১৫-০১-২০১৪