হায়রে আমার বন্ধুরে
চলে গেলা কোন দূরে
খুঁজে বেড়াই ঘুরে ঘুরে
শহর থেকে গাঁ ও ।
হায়রে পরান বন্ধুরে
খুঁজবো আমি কোন বনে
আমায় তুমি বলে দিয়ে যাও।।
ব্যাথা দিয়ে বন্ধুরে
কি সুখ পা ও অন্তরে
আমায় তুমি একটিবার সুধাও ।
হায়রে আমার বন্ধুরে
চলে গেলা কোন দূরে
খুঁজে বেড়াই সবখানে
শহর ছেড়ে
বৃষ্টিস্নাত সকাল। বাসে সফর করছে অনি। পুরা নাম অনিরুদ্ধ হাওলাদার। সংসারে অনিকে সাদরে বরণ করে রুদ্ধকে যখন অনাদরের আবর্জনায় নিক্ষেপ করা হয় তখন পূর্ণরূপে রূপায়িত হয় ‘অনি’। বর্তমানে তাকে ‘অনিরুদ্ধ’ বললে বান্ধবমহলেও চেনা দায়। চালকের পিছনাসনে আসীন। রঙিন চশমা পরে
এতো ভালো কিভাবে বাসে মানুষ
যার জন্য মরে যেতে পারে,
বা যুগ যুগ টিকে থাকে স্মৃতির আঁকারে?
বড় আজব লাগে যেখানে জীবন শুধুই একার
তবে কিভাবে হয় মানুষ মানুষের!
সেভাবে কি যেভাবে নীলাকাশ ফানুসের!
কিন্তু সেখানেও রহস্য
মানুষ আসলে মানুষ বলেই ভালবাসে,
দূর থেকে বহু দূর
১
হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে গেল। ভোর রাতের এ সময়ে আমার তেমন ঘুম ভাঙে না। কী জানি একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। আবছা আবছা মনে পড়ছে; জঙ্গল, ফুল, ছোট সাদা বাড়ি। স্বপ্নে নাকি কোন রঙ দেখা যায় না। আমার মাথায় বোধহয় কোন সমস্যা
রাতের বেলায় ঢাকা শহরের রাস্তা বেশ ফাঁকা থাকে । মিজান সেই ফাঁকা রাস্তায় মনের আনন্দে গাড়ী হাকিয়ে বেড়ায় । কোনো কোনো রাত কাভার করে দেয় রাস্তাতেই । গাড়ী থাকলেও মিজানের মোবাইল নেই । সে ইচ্ছে করেই কিনে নি । তার
টেলিফোনের বিল দিয়ে যায়
টেলিফোনের লোকে;
তা নিয়ে কেউ রাগ করেনা
কেউ মরে না শোকে।
যখন তখন ডেড হয়ে যায়
চুল ছিঁড়ে সেই রাগে;
তারপরও সে বিল দিতে যায়
লাইনে দাঁড়ায় আগে !
কিন্তু যদি বিলের টাকা
ঠেকে লাখের ঘরে;
সবাই মিলে এক পলকে
ভূতকে আছর করে !
‘ভূতুড়ে বিল’ ‘ভূতুড়ে বিল’
জপতে
কাশফুলের ধবধবে সাদা দলের একটুকরো,
তার কালো চুলের সাথে লেগে ছিল বেশ কিছু সময়, মাকড়সার জালের মত
তির তির করে কাঁপছিল বেশ, আলতো হাতের ঘায়ে সিঁথির বিন্যাসে
উড়ে গেল শরতের এলোমেলো হাওয়ায়।
এলোমেলো মেঘের বেশ জট লেগেছে,
বোধ হয় বাতাস বিড়ম্বনা, স্মৃতির আকুলতা ছিল তেমনি
ওদের কোন কথা আমি কেন যেন ফেলতে পারছিলাম না–ওদের দু জনের সঙ্গে সমুদ্র পার ধরে ওপরের রাস্তার দিকে হাঁটতে লাগলাম। সামান্য গিয়েই বড় রাস্তা পড়ল, আর রাস্তা পার করতেই মাধবীদের হোটেল দেখা গেল। চাঁদের আলো আগে থেকে অনেক উজ্জ্বল হয়ে