অনেক ক্ষুধা, ক্ষুধায় পাগল; ভাত ঠেকালো
————————————— বৃষ্টি !
ভাতের আশায় নামছি কাজে; কাজ ঠেকালো
————————————— বৃষ্টি !
ঠাণ্ডা বাতাস হাড় কাঁপানো: কাঁপাচ্ছে হাড়
————————————— বৃষ্টি !
কাপড় যে টুক শুকনো ছিলো দেয় ভিজিয়ে
————————————— বৃষ্টি !
অগত্যা চাই, বাঁচাই মাথা; ঠাঁই কেড়ে নেয়
————————————– বৃষ্টি !
ক্লান্ত হয়ে চাই
পথের আবর্জনায়
পঙ্গু অবলার নিরূপায় চটবৃত্তি
মন আলয়ের স্বীয় অনুরূপ রায়ে
কেহ খোলে হস্ত কোমল প্রাণে
দৃঢ় বিশ্বাসে আর ভয়ে
হেরিছেন মহাদৃষ্টি।
দূর্বাঘাসতুল্য দুর্বল বিচারে অকোমল নির্ভীক
পদতলের ভ্রুকুটিহীন পিঁপড়া পিষা ধুলা
ঢুকিয়ে দেয় নাসিকায়।
নাড়ী ছেঁড়া ধন হারালে উভয় পদ
প্রাণপাখি দিলে উড়াল দানব ঘাতে
মস্তিস্ক মশাল জ্বেলে খোঁজো হেতু
ওড়না
চোরা বালির নীচে
জীবনের মত জল—
স্রোতস্বতীর ফল্গু ধারা !
মরণ ফাঁদের নীচেও
কোথাও কাঞ্চন শুদ্ধতা !
অন্ধকারে লেগে থাকা আলো রেখা–
লুপ্ত চাঁদ ঠেকে থাকে
ম্লান জ্যোৎস্নার ঝালরে,
লুব্ধক আলোক ছটায়
চোখের আঁধার সিক্ততা !
কাঁটা আবরণ কঠোরতায়
ফুটে ওঠে মায়াবী ফুল—
যে জ্বালা,নিষ্ঠুর আগুন লোহায়
ছোঁয়া থাকে তুলতুল শরীর আদলে,
অতলে লুকিয়ে
মেঘের বাঁধন ছিঁড়ে অবাক রোদ্দুর;
তির্যক আলোর ছুটাছুটি,
তুমি কি এমন করে আসিবে ছুটে?
অনুভবের বগলে দিবে সুড়সুড়ি।
শিশির ভেজা সবুজ ডগা
আলোমেখে মুক্তোর রুপ,
ভেজা পাপড়ীতে চুম্বন এঁকে
দিবে কি অপার্থিব সুখ?
সোনালী রোদ্দু লুটোপুটি খায়
কাঁচামাটির বুকে,
সোঁদাগন্ধ হাওয়ায় ভাসে
লম্বা দমে যায় নাকে।
লোমশ বুকের অদৃশ্য স্তর
ভিজে জুবুথুবু নোনা
আমি দেখেছি সেদিন
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ
দেখেছি সেদিন
মা-বোনের আহাজারি একরাশ।
ভংয়কর সেদিনের কথা
আজও চোখে ভাসে
মনে জাগে ভীষণ ব্যাথা।
এগারো জুলাই—
আজ আবার স্মৃতির পাতাই
হাত বুলাই—
কষ্টেরা আনাগুনা করে
ফেটে যায় বুক
চোখেতে ভাসে
নিষ্পাপ অবুঝ কিছু মুখ।
জীবনের এই অনাকাঙ্খিত ট্র্যাজেডি
মেনে নিতে আমরাতো ছিলাম না রেডি,
স্মরণে তাই আজ মিরসরাই