বাঁশি যদি বাজে
মায়া কাঁদে কেউ—ভালবাসা জানে না কো সে রাখাল বালক—
গোপাল অরণ্যে হারায়,
রাতের সে বালিকার স্মৃতি ধাওয়া ধীর পা,
আকাশ নক্ষত্রের ঝাঁপি,নিশীথ চাঁদ তারায়
অরণ্যের আনাচ কানাচ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়–
সে কিশোর কদম্ব পাদপ তলে আনমন বাঁশির আলাপ ভাঁজে…
স্বপ্ন সাধ অনেক ছিল বুকে
আশার ভেলা ভাসায়েছি মহাসুখে!
স্বপ্নরা গেছে মরে
সাধ জাগেনা আর
আশার ভাষা হারায়েছি বারবার।
মনের গহীনে চুপি চুপি বারংবার
আশায় আশায় বেঁধেছি সংসার।
আশার পালে লাগেনি হাওয়া তাই
অাঁধারে ঢেকেছে আমার চারিধার।
সেসব কথা গিয়েছি ভুলে,
বিস্মৃত বহুকাল-
ভুলেছি আশা রোদ্দুরে ভোর সোনালী সে সকাল।
বার্তাবাহক আসিবে
কবিতা–
* লিখব না আর কোনো কবিতা
লিখব না আর কোনো গান–
শোনব না দুর্বোধ্যতার কোলাহল
দেখব না অপ্রসন্নতার আকাশ।
প্রিয়ার চিঠিতে বলব–প্রেয়সী,
ভালবাসি তোমাকে সোজাসোজি
সহজপথে চলুক তোমার আগামীপথ–
শ্রীকান্তনগরে করো না অবোধ্যবিলাপ।
জলের মতো স্বচ্ছ দেহ তোমার
ঘোলাটে দেখি সাঙ্ঘাতিক অস্বচ্ছ
বৃথা সাজগোছ–অনর্থক মাতামাতি
বুঝতে পারি না কেন এ প্রলাপ।
নিজেকে