Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

প্রতিনিয়তই একই পথের যাত্রি হয়ে
ছুটে চলেছি পথ ধীর লয়ে
ক্লান্তিহীন দেহ; অবসাদে অন্তর ক্ষয়ে ক্ষয়ে;
কতটা সময় অনুসন্ধিৎসায় গেল বয়ে।

হেঁটে যাই তাবৎ বিসংবাদ সাথে নিয়ে
পদচিহ্ন রেখে যাই; জগত দেখি বিস্ময়ে
ভালবাসা তোমায় দিলাম ছুটি; দীর্ঘশ্বাস পড়ে চুয়ে চুয়ে,
খানাখন্দ পথে ভালবাসা খায় লুটোপুটি, স্পর্শ

হিমুর কারিগর অসময়ে হারালে
অন্তহীন হিমে আচম্বিতে পা বাড়ালে;
মেঘের উপর গড়ে নিলে বাড়ি
চলে গেলে মর্তলোক ছাড়ি ।
তোমার সৃষ্ট হিমুরা এখনো প্রখর রোদ্দুরে
হলুদ সাজে খালি পায়ে হাঁটে দুর বহুদুরে।
আর! হিমুনিরা হলুদ শাড়ি পড়ে ভিজে ভিজে হয় সারা
তুমুল বর্ষনে ঝর ঝর মুখর রবে

 উদাসীনের মত আমিও মানুষ দেখি
চলতে চলতে দেখি; বসে বসে দেখি,
দেখি আর ভাবি; মানুষ তো সবই
কত কিছিমের মানুষ;
কারো চোখে আঁকা রঙ্গীন ফানুস,
কারো মুখ ত্যক্ত;
কেউ বসে বিরক্ত।
চলছে কেউ ছড়িয়ে উচ্ছাস;
ফুটপাতে বাচ্চাটি কানছে হয়তো উপবাস।
বন্ধুর দল চলছে, দুষ্টামি আর খুঁনসুটি;
মিষ্টি বাবুটা দেখ কেমন

ব্যস্ততার সব শিখর উপড়ে ফেলে,
ব্যস্ত থাকার অভিনয় প্রতিনিয়ত;
মনের গহীনে বিষন্নতারা যেনো পাখনা মেলে।
বহুদুরে কিছুটা সময় একা
অভিনয় না জানলেও
সবে পায় মুখ জুড়ে আনন্দের দেখা ।
আত্মজদের সাথে থাকলে
আনন্দের সঙ্গি হয় লেখালেখি,
কল্পনায় আকাশে রঙ তুলির আঁছড়
মনের ক্যানভাসে এলোমেলো আঁকা আঁকি।
কতদিন লিখি না
কারো অবয়ব

মেঘ দিয়ো না আমার আকাশে
তৃষ্ণায় হয়েছি কাতর
একফোটা বিশুদ্ধ বারিধারা দিতে পারো ।
সীমাহীন নীল দিয়ো না আমার অসীম আকাশে
যদি দিতে চাও, দিয়ো!
মেঘের পর ভেসে উঠা রংধনু আকাশ ।
ঝাঁঝালো রোদে পুড়িয়ে দিয়ো না
আমার ভালোবাসার আকাশ,
চাও যদি কিছু দিতে!
একটুকু ছায়া দিয়ো আমার আকাশ

তোমায় খুঁজেছিলাম
ব্যাকুল হয়ে অবিরাম,
খুঁজেছি মধ্যাহ্নের ধুলি উড়া পথে
ভেসেছি বার বার অন্তহীন স্রোতে।
খুঁজেছি তোমায় নদীর তীরে অবেলায়
রোদের তেজ নেতিয়ে পড়ে বেলা শেষের খেলায়।
খুঁজেছি তোমায় শহরের অলিগলি
কাঁদা,পানি ইট সুঁড়কির পথ পায়ে দলি,
খুঁজেছি খাঁ খাঁ রোদ্দুরে
শুকনো পাতারা ধ্বনি তুলে মর্মরে।
নিকষ কালো আঁধারে খুঁজেছি

জ্বলছে রিকশা; জ্বলছে বাস
ভাংগছে গাড়ী, ভাংগছে কাঁচ,
জনতা হলো বুঝি তুরুপের তাস;
রক্তে লাল পথ;  রাস্তায় লাশ,
পেছাচ্ছে পরীক্ষা ; বন্ধ ক্লাশ।
সুনসান অলিগলি; নি:শব্দ আশপাশ,
উৎকন্ঠায় কাটে দিন রাত মাস।
গুম হচ্ছে মানুষ; বাড়ছে ত্রাস,
সবুজের লাল সূর্যের লেগেছে পূর্ণগ্রাস!
একাত্তরে কি ভেবে হয়েছিল স্বাধীনতার বীজ চাষ?
পরাধীনতায়

এক চোখ তোর চন্দ্র
অন্য চোখ সূর্য
এক চোখে জ্বালাস বড়
অন্যে চোখে চালাস,
ভালবাসার তূর্য ।
পোড়াস কেন এত করে
তীক্ষ্ণ রোদের ঝলকানিতে?
চন্দ্রটাকে ঢাকিস কালো মেঘে
আঁধার ছোঁয় মনের বেলকনিতে!!
সূর্যতে দেখ জল ঝরে!!
আলোয় হাসে না চন্দ্র
চন্দ্রে না পায় আলো,
যদি না হাসে সূর্য।
মিলেঝিলে চন্দ্রে সূর্যে
আলোয়

প্রত্যাশা থাকে কখনো মন থেকে
কারো মনে আমার জন্য;
এক কণা ভালবাসা জমা থাক,
দুষ্ট কপোত কপোতিরা যখন
আনন্দের গান গেয়ে বেড়ায়,
বাজনার তালে তালে ময়ূর ময়ূরী
পেখম তুলে নাচে…..
তাদের আনন্দে আমি গাইতে পারি না
সুরের তালে মন পারি না দোলাতে;
দু:খ ভাবনারা তাড়া করে পিছু।
আমিও সুখে দুলতে

খুব প্রভাতের মিষ্টি বাতাস,
কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরের শিশির
ঘাসের ডগায় মুক্তোর দানা
জ্বলমল করা রৌদ্রজ্জল সকাল;
দুর থেকেই ছুঁয়ে যাই
শিশিরের স্পর্শ;
হিম হিম অনুভব আংগুলের ডগায়,
শিশিরের কাছে গেলেই স্পর্শে গলে যায়;
আমার কঠিন হাতের স্পর্শ ওর সহ্য হয়না।
প্রভাতের মিষ্টি বাতাস
আমায় দেখে স্থির দাঁড়িয়ে পাতায়
লুকোচুরি খেলে আঁড়ালে থেকে,
আমার

go_top