Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

একুশ এলে বাংলা মা
আঁচল বিছিয়ে বসে,
পিঠা পুলির মৌন সাজ
ছড়া কবিতায় মজে।

কত কথার রূপকথা যে
মায়ের বোলে লেখা,
আকাশ জুড়ে স্বপ্ন ভরা
বাহান্নের গায়ে আঁকা।

গুনগুনিয়ে গান ধরে যে
সর্ষে ফুলে মৌ,
সোঁদা গন্ধে মত্ত যুগোল
কোকিল ডাকে কুহু।

পাতা ঝরার হিমেল বনে
আম্র মুকুলের গন্ধ,
গাইছে গান গুনগুনিয়ে
ভ্রমর জুটি বন্ধ।

১৪২০@২৬

একুশ এলো

একুশ এলো, মায়ের বোল উঠল ডেকে,
একুশ এলো, স্বরবর্ণ গুলো উঠল গেয়ে।
একুশ এলো, মাঘের শিতল হাওয়া বয়ে,
একুশ এলো, নতুন বইয়ের গন্ধ মেখে।

একুশ এলো, দূর্বাঘাসে শিশির ধুয়ে,
একুশ এলো, শহীদ বেদিতে শোকের ফুল।
একুশ এলো, সুজন বাদিয়ার ঘাটে ঘাটে,
একুশ এলো, বর্ণমালার ঐ মিষ্টি

বিবর্তনের ইতিহাস অমিয় ঝক্‌ঝকে তারল্য মরীচিকা,
মিথের শরীর চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরছে, ঘটনার উপপাদ্য
উদগীরণের মিশ্র জলীয়বাষ্প ছড়িয়েছে, পৃথিবীর আকাশ ময়
বড় বেশী স্বেচ্ছাচারিতায় জেগে উঠে পৌষ প্রণয়।

তাইতো ডাক দিয়ে যায় বাতাসের গান,
লকলকে সবুজ ডোগায় শিশিরের মগ্নতা,বিরহ অভিমান গ্যাঁট বেঁধেছে
বিবর্তনের স্বপ্ন মিশেল মৌনতা, সেই

ঢলে পরা দোয়াতের কালিতে, মেখে গেল শ্বেতপত্র
কি করে মুছে ফেলি সেই অসম কালির দাগ?

যে দাগে স্মৃতির ছাপ এঁকেছে মনের অজানতেই
সেই দাগ মুছবে কিসে? দিন গড়িয়ে সন্ধ্যায় মিশে,
আন কড়া বেদনা হাওয়ায় ভেসে আসে
সে কি সুখ ভৈরবী রাতের যাতনা ভুলে!

গ্রহন লাগা স্মৃতির

কালের জলে গা ডুবিয়ে পানকৌড়ি বুনে যাওয়া
ডুব সাঁতারে ডুবে ডুবে জলের সিঞ্চন খেলা।

কাটছে বেলা সেই জলেই দিন গড়িয়ে রাত
হার কাঁপানো শীতল জলে উঞ্চ উমের ক্ষেত,
মনের ক্ষেত দেহের ক্ষেত রসা নলে বাঁধে দাঙ্গা
জেদের রসে ভেজা রাগে উর্বর মগজ ফুঁসে উঠে।

চুপ করে

তবু তো বেঁচে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার উদগীরণের সুখ বয়ে,
স্মৃতির মনি কোটায় আজও চিন চিনে ব্যাথায় জ্বলে।

দুর্নিবার চাওয়াকে যখন তুচ্ছ করে দিলে,
সবটুকু বাসনা আটপৌঢ় ঘোমটা নিমজ্জিত;
উদাসীনতাকে আঁকড়ে বেশ লম্বা লম্বা করে দীর্ঘশ্বাস
কত কাল যে পেরুলে নিঃস্তব্ধ নিরবে একা করে।

ছোটবেলা কিশোর যৌবন সময়

কবিতার মিথ যেন আমার শোবার ঘর,
আলো ছায়ার লুকোচুরির আষ্টেপৃষ্টে গেঁথে আছে শরীর জুড়ে।

এই গ্রহন লাগা ক্রান্তিকালে রক্তক্ষরণ নিত্য
মস্তিস্কের ক্ষত ক্ষয়ে ক্ষয়ে বাড়ছে যন্ত্রনা,
স্বপ্ন ঢোলা সবুজ পাতায় ধরেছে মোড়ক;
আহাম্মকের মত মিছে মিছে স্বপ্ন খোঁজার ভান।

অসহায় বৃষ্টির লেহনে কর্ষিত স্নানে সিক্ত উর্বর

মানুষের মুক্তির পথ এত আঁকা বাঁকা কেন?
সময় আর পথের কোন্দল আজীবনের, সময় বলছে ডেকে
পথ চল চেনে চেনে, আর পথ বলছে ঢের হয়েছে এবার পালাও
শুধু চেয়ে দ্যাখো মুক্তি ঐ আকাশের কার্নিশে ঝুলে।

এখনও রূপকথা লেখা বাঁকি,
বিয়াল্লিশ বছরের সময় আর পথের নকশায়, ছোপ

রাতের আঁধার এখন পাকা ধানের গন্ধে মজে
শেয়ালের হাঁক মাঠে মাঠে, কৃষকের উঠানে হইহুল্লুড়ের মাতে
লেবু তলায় দ্যাখো, জোনাক জোনাকির গোল বেঁধেছে
শিশির ভেজা ঘাসে জ্যোত্স্না মুচকি হাসে।

জ্যোত্স্না মাখা কৃষকের উঠান জুড়ে
লখিন্দর বেহুলা পালা, গভীর রাতের বিরহী গান
বাঁশের বাঁশিতে কান্না ভাসে, রাতভর চির

কিচ্ছুটি হয় না,
সারা রাতের ভাবনার জোড়া তালি, তাও ছিটেফোঁটা মন ভরে না
তেপান্তরের শরীর জুড়ে, মাঠে যেন সবুজের মোড়ক লেগেছে
আচমকা ঘুম ভাঙ্গে নিজের নন্দন পুরে।

সেই সুখ ছুঁয়ে দেখবার অবসর কই?
তবু এলো মেলো করিৎকর্মা সেজে, যায় যে বেলা দুপুর গরিয়ে
দিন ফুরিয়ে যায়

go_top