Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

ভিজছে দ্যাখো স্বপ্ন যত
হেমন্ত মেঘের বৃষ্টির জলে, আউশ ধানের ক্ষেতে
কাদা জলের মাঠে পর মাঠ, হাওয়া মেখে সবুজ শিষ দুলে ঐ
ধানশালিকের ঝাঁকে পলি কাদায় পায়ের ছাপ আঁকে।

সেই ছাপে আজ অবধি হয় যে লুটাপুটি,
কৃষকের শীর্ণ পায়ের পাতায়,
কালে কালে প্রপিতামহের সেই আঁকা ছাপে
পরতে

কেন জানি পথ ফুরায় না?
দীর্ঘ দিন যাবত একই পথে হাটা, অথচ প্রতিনিয়ত বিনির্মাণে পথ
পথের মোড়ে সেদিনের গজে উঠা, পাকুড় গাছটা সবুজ অঙ্গে মহীরুহ
হাওয়া বয় শিকড় ঘেঁসে ইট সুড়কির বসবার আসনে।

আঁকা বাঁকা পথ ধরে হেঁটে যায় পথিক,
ভেসে আসে বেসুরা বেহুলা লখিন্দর,

স্বপ্ন দেখায় আগের মত আর মজা নেই,
বিংশশতাব্দীর স্বপ্ন বেজায় চতুর, হাত পা গজিয়েছে বোধ হয়
তাই তো আগের মত, বিনম্র আহ্লাদ নেই বললেই চলে
যত সব বস্তা পচা ভাবনা আকড়।

এখন কার স্বপ্নে মনটা বিষিয়ে উঠে,
নেই যেন স্বপ্নের উদ্দীপনা, তাই তো নতুন প্রজন্ম

বোধের কলঙ্কে আঁকা হত্যাযজ্ঞ ,
মানুষ হত্যায় কি সে মুক্তি? পৃথিবী জুড়ে প্রত্যহ মানুষ হত্যার খেলা
অথচ এই পৃথিবী এই মানুষের জন্য,তাহলে কেন এই অনর্থক রক্ত বন্যা
মানুষ মানুষের জন্য রক্তপাত কলঙ্ক।

রক্ত নেশায় পশুরা হত্যাযজ্ঞে মাতে
কারন তারা বোধ হীন প্রাণী,তাদের এ হত্যা সহসা

মৃত্যু প্রাণিদেহের ক্ষণস্থায়ী এক ভয়ঙ্কর ভাবনা,
ভয়ঙ্কর এই জন্য যে, বয়ঃসন্ধিকালের তারই পায়ে লোটাতে হয়
পথ ফুরাবার ক্ষীণ শরীর সর্বস্ব, যন্ত্রণার বুননে নিশিদিন বয়ে যায়
শরীর আর কিছুতেই পায় না মুক্তি ।

যে মুক্তির প্রত্যাশায় কেটে যায় বাড়ন্ত জীবন।
যে মুক্তির সহসা সুখ জীবনভর শুধু

ধুলি কোনা সম জীবন মূল্য
অতিসামান্য তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের, অকৃত্রিম আশার টানে
যে টানে শুধু নিভৃতে চলা, চেতনার বানে নেশা টুটে না
জীবন সম্ভ্রমে রং লাগিয়ে বাঁচা।

জারুল তলায় হলুদ পাতার স্তূপে
কাঠবিড়ালীর রঙ্গ লীলায় মাতে, এইতো জীবন কাশবনে ছুটাছুটি
ঐ দিগন্তে গা ঢলে ছুঁয়েছে মেঘ, এইতো

জীবন ভাবনার আঁড়ালে বেস তো ছিল,
তবে কিসের আকুতি জীবনভর ? কিসের কষ্ট বুকে ঐ বসেছে চেপে
আধা তন্দ্রায় স্বপ্ন ভঙ্গ দিবানিশি, অমাবশ্যা রাতের কালের মত নির্মম
হয়তো জীবন এমনি তন্দ্রা ভ্রমে যুগোল বহমান।

যার জীবনে আলো ফুটলেই না কখনো,
সে

হয় না কিছু সময় মেপে,
তবুও একটু সময় নেই হাতে! কাজ না পেলে হব নাকি ভবঘুরে
অন্তত পৃথিবীটাকে তো দেখতে পারব? চিনতে পারো
মানুষগুলো কেও;
প্রপিতামহের ছালবাকলের জীবন খুঁজি।

নেমে পরি নাহয় শিকার সন্ধানে,
কালের ছকে আঁকা সেই গাত্রদাহ, মাপজোখ সেঁকে সেঁকে

যখন তখন বৃষ্টি এলে,
শুধু জ্বালাতন, কৃষক বলে এলে না কেন ভাই?
সময় হিসেব কোষে, মরুভুমির সদা চাওয়ায়
চিড়ে ভিজে না যে;
কেউবা উপস কেউবা ভূজন রসে ডুবে।

বলিহারি বিভ্রম দেখি চারপাশ,
ভোঁদৌড় দেয় রে পথে, মেঘের মত ছুটে
তৃঞ্চা ক্ষুধার টান পরলে

সে ছিল বোধ হয় একটু বেশী আপন,
সেই সাতাশ বছর আগের কালে, রং ধরা আকাশজুড়ে
স্বপ্নভরা কৈশর সবে শেষ, আবেগের গায়ে গা ডুবে জল ডুবা পানকৌড়ি যেন
সবে কথার সুরে রস লেগেছিল।

চন্দনার ঠোঁটে যখন লাল রং
গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে,

go_top