Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

তোমাকে দেখব বলে সেই কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ তলে
পিছ ঢালা পথের ধারে পদ্ম ফোটা দিঘীর জলে ;
তীর্থের কাক আমি হেরিতে কাতর
তুমি পাষানী হৃদয় তোমার পাথর ।

তুমি দেখেছ ? কভু কি শুনেছ ?
কোন দিন কি জানতে চেয়েছ ?
তীব্র অপেক্ষায় অনিদ্রায় কত ব্যর্থ ছলে
কেটেছে

মধ্য নিশিতে অনিচ্ছায় নেত্র মেলে যায়
বক্ষ পিঞ্জর ধরপর করে সর্বদায়

চমকে উঠি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে ।

নিদ্রায় বারণ করে একাকিত্ব ঘণ্টা ধ্বনি
কর্ণে কুহরে বাজে তোমার দু’পদের রিনিঝিনি

দর্শন তোমার সনে মোর নীরে ।

রুদ্ধ দ্বার অবারিত করি তোমায় খোঁজার লাগি
হেথায়-সেথায় নিঃশব্দে হেরি পুরো

বায়ু ন্যায় তোমার স্মৃতি আমাকে ঘিরিয়ে রেখেছে
মুক্তি চাই কিন্তু পাইনা ;
তোমার রেখে যাওয়া দন্ত ব্রাশ
নিত্য প্রাতে আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় ।

আর কৃষ্ণ বর্ণের চুলের কাকনটি
আমার কর্ণে কি বার্তা শোনায় জান ?
গভীর ভাবনা কিসের ?
আমার সখি সল্পকাল পরেই আসবে ।

এই

আমার প্রেমের তুমি জন্মদাতা
এ হৃদয় ভূমি চাষ করে বীজ করিছ বপন ;
সুখের স্বপ্ন নীরের তুমি নির্মাতা
শিশু প্রেম তরুকে স্বহস্তে করিছ কর্তন ।

মোর চরম অসহ্য লাগছে

ত্রাস লজ্জা আনমনা মোরে সর্বদা ঘিরিয়ে রাখত
তোমার প্রেম মন্ত্রে ভেঙ্গে হয়েছে চুর্মার ;
সংস্পর্শে তোমার লাজের

তুমি তো একদিন আমার লাগি পাগল ছিলে
ঠিক বলছিনা ? অস্বীকারের অবকাশ আছে ?
তোমার বক্ষে কেবলি বাস আমার
দুজন দুজনার শ্বাস তুমিই বলেছিলে ।
তোমারে হেয় করিতে নহে , একটু মনে পড়েছে
স্বল্প কাল কেন ছিলে হতভাগার ?

সহায় সম্পদ ঢের নাহি ছিল অর্থ কড়ি
ছিল

আজ কেন জানি তোমাকে বেজায় মনে পড়ছে
একটি পলক দেখিতে মন ব্যাকুল হয়েছে
কোন লাভ নেই , কোথায় যে ঠিকানা ?
কেমন আছ তুমি ? তাও জানিনা ।

খেচর হলে ডানায় ভর করি
উড়ে উড়ে যেতাম তোমার বাড়ি ;
পরন্ত বৈকালে ক্লান্ত দেহে পৌছাতাম
ক্ষুধা তৃষ্ণা মিটিত

আজো বড় সাধ জাগে মনে
রাতে কথা হবে মুঠো ফোনে ;
ব্যক্ত করব যত সুখ দুঃখ বচন
কথার সাগরে ডুবে যাব দুই জন ।

নিদ্রা-তন্দ্রা আসবেনা চোখে
ক্লান্তির লেশ রবেনা মুখে ;
বক্ষে সেই বড় আশে আশে
দুটি ফোন রাখি দু কর্ণ পাশে ।

তীব্র প্রতিক্ষায় কাটিল দ্বাদশ

দ্বাদশ বছর পর দিয়েছ একটি ফোন
কহিলে মন খুলে কিছু তিক্ত বচন ;
সম্বোধন করিলে মোরে আপনি কহে
সহজেই বুঝেছি সেই তুমি আর নহে ।

নিঠুর তিক্ততার মালঞ্চ পেলাম উপোঢৌকন
আমি দিলাম চিত্তে জমানো প্রীতির ভাষণ ;
এগুলো নাকি আবেগ ? কহিলে হেসে হেসে
এ মৃত্যু যাতনা

হিমি জান কি তুমি ?

আমি নেই আর সেই মেধাবী ছাত্র
আজিকে আমি সবার গ্রাসের পাত্র
অমাবস্যার ঘোর কালিমা আমায় ডুবিয়ে ধরে
মৃত্যুর কালো ছাঁয়ায় দম আটকে তবু দেয় না ছেড়ে ।

ইচ্ছামত আমায় গ্রাস করছে ।

আমাতে এক ফোটাও মধু নেই
সর্বাঙ্গ পূর্ণতা ভীষণ তিক্তেই
মঞ্জুরী ভেবে

হঠাত্‍ বাদল এলো
যেমন তেমন নয় প্রবল বেগে ;
চারদিক থেকে কৃষ্ণ মেঘের ঝাপটা
মাঠ ঘাট পথ শুন্য হলো ।

অচিন এক পাখি নিরাশ্রয়ে
দিক বেদিক ছুটছে ঠাঁই পাচ্ছে না ।
এক বৃক্ষ থেকে অন্য বৃক্ষ
একটি পত্র তল থেকে আরেকটি পত্রালে
কেহই তার ভার সইছে না ।

বাদলের

go_top