তোমাকে দেখব বলে সেই কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ তলে পিছ ঢালা পথের ধারে পদ্ম ফোটা দিঘীর জলে ; তীর্থের কাক আমি হেরিতে কাতর তুমি পাষানী হৃদয় তোমার পাথর ।
তুমি দেখেছ ? কভু কি শুনেছ ? কোন দিন কি জানতে চেয়েছ ? তীব্র অপেক্ষায় অনিদ্রায় কত ব্যর্থ ছলে কেটেছে
মধ্য নিশিতে অনিচ্ছায় নেত্র মেলে যায় বক্ষ পিঞ্জর ধরপর করে সর্বদায়
চমকে উঠি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে ।
নিদ্রায় বারণ করে একাকিত্ব ঘণ্টা ধ্বনি কর্ণে কুহরে বাজে তোমার দু’পদের রিনিঝিনি
দর্শন তোমার সনে মোর নীরে ।
রুদ্ধ দ্বার অবারিত করি তোমায় খোঁজার লাগি হেথায়-সেথায় নিঃশব্দে হেরি পুরো
বায়ু ন্যায় তোমার স্মৃতি আমাকে ঘিরিয়ে রেখেছে মুক্তি চাই কিন্তু পাইনা ; তোমার রেখে যাওয়া দন্ত ব্রাশ নিত্য প্রাতে আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় ।
আর কৃষ্ণ বর্ণের চুলের কাকনটি আমার কর্ণে কি বার্তা শোনায় জান ? গভীর ভাবনা কিসের ? আমার সখি সল্পকাল পরেই আসবে ।
এই
আমার প্রেমের তুমি জন্মদাতা এ হৃদয় ভূমি চাষ করে বীজ করিছ বপন ; সুখের স্বপ্ন নীরের তুমি নির্মাতা শিশু প্রেম তরুকে স্বহস্তে করিছ কর্তন ।
মোর চরম অসহ্য লাগছে
ত্রাস লজ্জা আনমনা মোরে সর্বদা ঘিরিয়ে রাখত তোমার প্রেম মন্ত্রে ভেঙ্গে হয়েছে চুর্মার ; সংস্পর্শে তোমার লাজের
তুমি তো একদিন আমার লাগি পাগল ছিলে ঠিক বলছিনা ? অস্বীকারের অবকাশ আছে ? তোমার বক্ষে কেবলি বাস আমার দুজন দুজনার শ্বাস তুমিই বলেছিলে । তোমারে হেয় করিতে নহে , একটু মনে পড়েছে স্বল্প কাল কেন ছিলে হতভাগার ?
সহায় সম্পদ ঢের নাহি ছিল অর্থ কড়ি ছিল
আজ কেন জানি তোমাকে বেজায় মনে পড়ছে একটি পলক দেখিতে মন ব্যাকুল হয়েছে কোন লাভ নেই , কোথায় যে ঠিকানা ? কেমন আছ তুমি ? তাও জানিনা ।
খেচর হলে ডানায় ভর করি উড়ে উড়ে যেতাম তোমার বাড়ি ; পরন্ত বৈকালে ক্লান্ত দেহে পৌছাতাম ক্ষুধা তৃষ্ণা মিটিত
আজো বড় সাধ জাগে মনে রাতে কথা হবে মুঠো ফোনে ; ব্যক্ত করব যত সুখ দুঃখ বচন কথার সাগরে ডুবে যাব দুই জন ।
নিদ্রা-তন্দ্রা আসবেনা চোখে ক্লান্তির লেশ রবেনা মুখে ; বক্ষে সেই বড় আশে আশে দুটি ফোন রাখি দু কর্ণ পাশে ।
তীব্র প্রতিক্ষায় কাটিল দ্বাদশ
দ্বাদশ বছর পর দিয়েছ একটি ফোন কহিলে মন খুলে কিছু তিক্ত বচন ; সম্বোধন করিলে মোরে আপনি কহে সহজেই বুঝেছি সেই তুমি আর নহে ।
নিঠুর তিক্ততার মালঞ্চ পেলাম উপোঢৌকন আমি দিলাম চিত্তে জমানো প্রীতির ভাষণ ; এগুলো নাকি আবেগ ? কহিলে হেসে হেসে এ মৃত্যু যাতনা
হিমি জান কি তুমি ?
আমি নেই আর সেই মেধাবী ছাত্র আজিকে আমি সবার গ্রাসের পাত্র অমাবস্যার ঘোর কালিমা আমায় ডুবিয়ে ধরে মৃত্যুর কালো ছাঁয়ায় দম আটকে তবু দেয় না ছেড়ে ।
ইচ্ছামত আমায় গ্রাস করছে ।
আমাতে এক ফোটাও মধু নেই সর্বাঙ্গ পূর্ণতা ভীষণ তিক্তেই মঞ্জুরী ভেবে
হঠাত্ বাদল এলো যেমন তেমন নয় প্রবল বেগে ; চারদিক থেকে কৃষ্ণ মেঘের ঝাপটা মাঠ ঘাট পথ শুন্য হলো ।
অচিন এক পাখি নিরাশ্রয়ে দিক বেদিক ছুটছে ঠাঁই পাচ্ছে না । এক বৃক্ষ থেকে অন্য বৃক্ষ একটি পত্র তল থেকে আরেকটি পত্রালে কেহই তার ভার সইছে না ।
বাদলের