Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

নদী এসে ঘর বাঁধে
আমাদের গ্রামে গ্রামে
বাড়ীর আঁচলে !

কখনো সে চুপচাপ শুয়ে থাকে
কখনো সে ডানা মেলে ওড়ে
কখনো সে নড়েচড়ে
কখনো সে ওঠায় ছোবল !

নদীকে জড়িয়ে ধরে
বেঁচে থাকে মাঝি
বেঁচে থাকে মালোপাড়াবাসী
বেঁচে থাকে হাজার কৃষক
আর বাঁচে কবি ও গায়ক
মাঝে মাঝে প্রেম

এখন বাঁচে না দেখি
কাকচক্ষু

কিছুটা অলস মুহূর্ত  আমার চাই

বেহিসাবি সময়ের কাছে ধার করা ,

শুধু মুড়ি  বা টোষ্টের সাথে এক কাপ

চায়ের জন্য নয়

বদ্ধ ডোবার কচুরিপানার মতো

অনাদরে বেড়ে উঠার আশ্চর্য কৌশল

যদি শিখে নিতে পারি ,

তাতেই সুখ।

মধ্য রাতে ভালো মানুষের মতো

ঘুমুতে যেতে নিষেধ  নেই,

তবে তার আগে  জানতে

বিখ্যাত আমি বিশ্বজিত

 

টিনের চলে কাক

কেও কেও দেখে হও অবাক
আমি হয়েছি অবাক ।

আমি বিশ্বজিত
হয়েছি ভীষন অবাক
শোন তোমরা আমি বিশ্বজিত
বলতে চাই কিছু কথা
আগে বলতে পারিনি আমি যে কথা ।

প্রাণভয়ে যখন পালাচ্ছি আমি বিশ্বজিত
আর হয়েছিলাম কতই অবাক
ওরা কেন আমাকে করছে তাড়া
নিয়ে ছুরি বল্লম

 

প্রিয় দুঃখ

 

তোমাকে ধন্যবাদ । সাথে সাথে পৃথিবীকেও । দুটোই আমার কাছে অপরিচিত হয়ে থাকল চিরকাল । অবিরত জানার চেষ্টায় তোমাদের এভাবে দূর্বোধ্য করে তুলব এমন জ্ঞান আমার কোনকালেই হয়নি । তাই এড়িয়ে যাই । বাস্তবতার নির্বোধ পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে যার সময়কে

বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে, দুষ্টু ক’জন ছেলে
সিটি মেরে ঘুরে বেড়ায়, লেখাপড়া ফেলে

আজকে হঠাৎ সিটি শুনে, ঘাড় ফেরালাম যেই
থমকে দাঁড়ায় পথের পাশে, হারিয়ে ফেলে খেই

এই ছেলেরা সিটি বাজা, শুনবো তোদের সিটি
নইলে এখন দাঁড়িয়ে পথে, করবি প‌্যারেড-পিটি

সাহস করে হাত বাড়িয়ে, ধরতে গেলাম যেই
দেৌড়ে

অরণ্য স্তব্ধতায়

ধীর অন্ধকারে নিষাদের বিছা জাল,

লুব্ধক চাঁদের ফাঁদ

নিশ্চুপ চাপা শিহরণ।

 

ভুবনের স্বপ্ন কায়া

কেড়ে আনা মায়া,

ফুরফুর হাওয়ার

তন্দ্রায়িত মাদক শরীর।

 

কার ইশারায় ঢাকা

ভীত চরণের পা ফেলা,

দুরন্ত ইচ্ছা তবু টেনে নেয়

অজ্ঞতার নিঃশ্বাস,

কার ছায়া ঐ ঘোরে ফেরে

জীবন অজীবনের যাওয়া আসার

এক ঘর

তন্দ্রায় ঘুমিয়ে থাকে–

জীবিত অথবা মৃত !

স্বপ্ন,ঘুম,জাগরণ

(নিবেদিত শেফালীকে)

আজ তোমার আমার পথে দেখা

বলতে পারো তোমাকে কতোদিন দেখিনা ,

লেখা ও হয়নি তেমায় নিয়ে কোন গল্প কবিতা

বলতে পারো তোমাকে  নিয়ে কতোদিন লেখিনা ।

ঈদ খুব কাছেই…

অনেক ছুটিপাবে,

এখানেই কি  কাটাবে দিন গুলো ?

নাকি সবাই বাড়ীতে যাবে ।

বাসায় আসবেন ; আসেন না

চোখ দু’টো  আমি দেখেছি জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে। উদাস হয়ে সে একা দাঁড়িয়ে প্রতীক্ষায় আছে প্রিয় কোন ব্যাক্তির। তার চেহারায় বলে দিচ্ছিল অনেকক্ষণের প্রতীক্ষা। তারপর আমি বা আমরা ওঠলাম সিঁড়ি বেয়ে ওপরে। দেখে সে ঘুরে দাঁড়ালো। প্রথম দেখলাম কল্পনার সাথে

এই ভাবনাটা বড় মধুর যে,
মানুষ পরপাড়ে চলে যাবার পর নক্ষত্র হয়ে উদয় হয় আকাশে।
তারপর যতদিন একটি মানুষও থাকে তাকে স্মরণ করবার ততদিন সে নক্ষত্র ঝরে পড়ে না।

পূর্বজন্ম ও পরজন্মের গাঁথার জন্মদাতারাও বড় রোমান্টিক।
এর কল্যানেই মানুষের মনে জাগে জনম

একদিন জনতা ব্যাংক, কুয়েট শাখার জানালার সামনে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় বাঁয়ে তাকিয়ে দেখেছিলাম ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের দিক থেকে কালো বোরখা পরা, মাথায় ওড়না দেওয়া, গাঢ় ফর্শা একজন মেয়ে হাসতে হাসতে ব্যাংকের দিকে আসছে। ঠোঁট একটু মোটা। দাঁতগুলি সুন্দর।

go_top