তুর্কমেনিস্তানের ড্রাভা শহরে রয়েছে একটি জ্বলন্ত গর্ত। সবার কাছেই এই জ্বলন্ত জায়গাটি ‘ডোর টু হেল’ নামে পরিচিত। রাতের বেলা নরকের এই দরজাটি খুবই সুন্দর লাগে। তখন অনেক দূর থেকেই জায়গাটা তো দেখা যায়ই, এর শিখার উজ্জ্বলতাও ভালোমতো বোঝা যায়। সেখানকার
এই পথ, গাছপালা, পাখিদের কলতান
পথের ধুলা, শুন্যতা, বাতাস, নর্দমার আবর্জনা
সবকিছুই ছিল কত সুন্দর।
প্রতিটি মুহূর্ত বইয়ে দিত
মনের মাঝে তৃপ্তির জোয়ার
যতদিন সে ছিল আমার অপেক্ষায়।
যেদিকেই চোখ মেলতাম
সবই যেন হেসে স্বাগত জানাতো আমায়
দিনের আলো রাতের অন্ধকার
চাঁদ আর ঝিলিমিলি তারাগুলো
আমাকে বলতো তুমি কত সুখি।
পাখিদের
কেউ পড়ে না,কেউ পড়ে না
এমন ছড়া লিখি,
ভাব-ভাবনা ভজঘট
সুর-তাল সব মেকি।
ছন্দে নাকি গন্ধ আছে
শব্দে আছে মাত্রা,
বাক্যে আছে বকম-বকম
আকাশ পথে যাত্রা।
ভুলের ছড়া হুল ফুটিয়ে
ঝরিয়ে দেয় ফুল,
তবু সুবাস ছড়িয়ে পড়ে
সোনা ছড়ির দুল।
সোনার মাটি রুপোর জীবন
তাম্রপত্রে লেখা,
লোহার হৃদয় মরচে পড়ে
আছাড় খেয়ে শেখা।
সুখ-সাগরে উথালপাতাল
ঢেউয়ের মত
বার বার হেরে যাই কবিতার কাছে
অখন্ড শব্দের স্রোত
বিপর্যস্ত হয় হামেশাই।
সেকেলে কক্ষের স্বাস্থ্যহীন পরিবেশ
বাইরে ডাকছে এসে বন্ধুবর হৃষিকেশ
একটানা শিশুর কান্নার সুর
পাখীদের ডাকাডাকি, বহু দূর
হতে ভেসে আসে কলের চাকার শব্দ
প্রকৃতি কখনো বুঝি হবে না নিস্তব্ধ !
সেকেলে কলোনী, শ’ খানেক মানুষের
শব্দময় বসবাস
দেয়ালে সেঁদিয়ে
দেখিয়া মিটিত না সাধ দু’নয়ন ভরিয়া
তবে না দেখিয়া কেম্নে আছি বাঁচি,
বুভূক্ষা দু’আঁখির অভুক্ত মণি
কল্পনার বিলাসিতায় নিই খুঁজি।
আছি তো বাঁচি স্মৃতির রস চুষি
অপুষ্টিতে ভোগা দুর্বল হৃদয়,
নিঃশ্বাস আছে তাই-আছি বাঁচি;
মনের রঙ ফ্যাকাসে-ক্ষয়।
কত দিবস চলিয়া গেলো;
কত রজনী হইল বিনিদ্র,
বারংবার দেখিবার নিখাত সাধ
হইল না