Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

জীবন বিচিত্রমুখী
যেন বয়ে চলা নদী
তবুও শেওলা জমে জীবনের ধারে
স্বচ্ছ জলধারা বহে না নিরবধি।
মুখে জড়ায়ে কখনো জীবন
বর্ণিল আনন্দে বয়ে চলে জীবনের চাকা।
জীবন দুঃখ, ব্যাথাময়
ছন্দ হারিয়ে এলোমেলো হৃদয়ের প্রান্তরে
স্বপ্নরা ঘর বাঁধে
কোন এক দুঃস্বপ্নের ঘুমঘোরে।
জীবন নিষ্ঠুর, নির্মম, রূঢ় স্বার্থন্বেষী
তবুও জীবন নিয়ে পথচলা
সকল হিসাব

আগুনরঙ বড় সুন্দর !

সে তাপিত উষ্ণতার আমেজ সান্ত্বনা

শীতের পৈঠায় বসে আলগোছ–

ছুঁয়ে থাকো যদি–সন্ধ্যা ঘন লালাভ ধুপের মত

জ্বলে ওঠা তোমার মুখ ! কখনো শরীর ভাপ ছোঁয়

জেনো সে আগুন আছে–হোক তা বড় গহন নির্জনতায়

যত মায়া লজ্জা ঘেরা গুপ্ত সে বিরহ ব্যথা–

জ্বালা তাপে সে ও

এই যে সরকার !
আপনাকে তো আমি পাইনি; যখন ছিল আমার দরকার ।
কেটেছে রাত কষ্টে কত না,
এই পৃথিবীতে আছে জল যত না ।

খুঁজেছি সারাদিন গভীর ভাবনায় মনের কোণে ,
কখন ও ফোন করে মোবাইল ফোনে ।
কখন ও জিজ্ঞেস করেছি দেখলেই অন্যে ,
কখন

ঘোড়া দেখে ঘোড়া কিনবে
ঘোড়ার খোঁজে ছুটছে ,
হাজার দোকানে জিজ্ঞেস করেও
ঘোড়া নাহি জুটছে ।

ঘোড়ায় উঠে ছোট-ছুটি
পায়ে হুল ফুঁটছে ,
ঘোড়া নাকি বানিয়ে দিবে
মাটি নাহি জুটছে ।

ঘোড়া পরে ঘোড়া আহত
তাই ছেলেটা কাঁদছে ,
পা ভাঙ্গল না ঘাড় ভাঙ্গল
নাকি কোথাও ফাঁটছে ।

বিঃদ্রঃ – কবিতাটি ভোরে

আমি আজ তোমার কাছে পরিত্যক্ত ধুলা
কিংবা জমে থাকা বড় স্তুপের ময়লা ;
পদ দলিত করে গিয়েছ তাই
যেথায় সুখের কোন অন্ত নাই ।

ডুব দিছো শান্তি হীরক সোপানে
বেশ ! হেরিবে কোন ক্ষণে ;
সুখ এটম কণা তুষার বজ্রপাত হবে
কোটি মাইল বেগে আপাদ মস্তকে পরিবে

গভীর অন্ধকার ভরা রাত কিংবা আলোকিত সকাল
কুয়াশায় ভেজা পথ কিংবা কাঠফাটা রোদেলা দুপুর
আলসেমিতে ভরা সোনালী বিকেল কিংবা সন্ধ্যাতাঁরার সাঁজে
প্রতিটি বেলা-র প্রতিটি ক্ষণে তোমায় খুঁজি নিঃশ্বাসের ভাঁজে
কে সেই তুমি বারে বারে জানতে চায় মন
তুমিই সেই “বিশ্বাস” নামের অসীম অবিরত বন।

তোমায় ঘিরে

ভালোবাসায় দাড়ি, কমা বসাতে নেই
একদম মানা প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসাতে
কেননা তখন অনেক জিজ্ঞাসার জবাব দিতে হবে,
ভালোবাসায় কোন প্রশ্ন চলে না
তাই বৃথা কোন সমাধান খুঁজেও লাভ নেই।
কোলন, সেমিকোলনের ব্যবহারও করতে নেই
ভালোবাসাকে আজ ছেড়ে দিয়েছি মাঠে
সে ঘোরাঘুরি করুক মনের আনন্দে, অবাধে
তার নিজস্ব আকাশ

 

অপেক্ষায়

——————–

স্মৃতির আয়না মুচে তাকাই যখন

অস্পষ্ট হলেও আজও ভেসে উঠে শৈশব

কৈশোরের কথা ।

ছয় ছেলে তিন মেয়ে নয় সন্তানের সংসার

প্রাণ উষ্ঠাগত মার ।

বড় সঙসারে সংখ্যাধিক্য লোক,

বড় বাড়ি মেহমান সারি সারি

সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া দায় তাদের সাথে ।

সংসার কর্মের চাকা চালিয়ে নিতে

বাঁধা রাখাল, দিন

জায়েজ- নাজায়েজের প্রভেদ ভুলে

বেশ্যার ঘরে খুঁজো জৈবিক চাহিদা।

বিনা সংকোচে যার তার দরবারে

উপটৌকন পেশ কর আপন আকিদা।

 

শয়তানের দরবারে মানবকল্যাণ

কে করিবে এমন বিশ্বাস?

শয়তানের ফুঁ’তে মঙ্গল কামনা

কার কাছে মূল্য আছে এমন আশ্বাস?

 

গোয়ালা গাভী পুষে দুধের আশায়;

গোবর হয় কি কখনও মুখ্য?

ওলানবিহীন যে গরু

তার কাছে

একের ভিতরে তিনের বসবাস
তিনে মিলেই এক।

দুইটিকে নিশ্চল রেখে
প্রাণপাখি নিত্য উড়াল দেয়
এখানে সেখানে বেড়িয়ে
ফিরে আসে নিত্যই
বাকিরা হয় সচল।

একদিন পাখি উড়াল দিয়ে
আসবে না আর ফিরে
তার বিহনে বাকিরা
ধীরে ধীরে যাবে মুছে।

মহা কারিগর তিনকে একদিন
পুনরায় দেবেন একত্র করে
শুরু হবে তাদের বসবাস
কভু আর হবে না

go_top