Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

কেউ পড়ে না,কেউ পড়ে না

এমন ছড়া লিখি,

ভাব-ভাবনা ভজঘট

সুর-তাল সব মেকি।

 

ছন্দে নাকি গন্ধ আছে

শব্দে আছে মাত্রা,

বাক্যে আছে বকম-বকম

আকাশ পথে যাত্রা।

 

ভুলের ছড়া হুল ফুটিয়ে

ঝরিয়ে দেয় ফুল,

তবু সুবাস ছড়িয়ে পড়ে

সোনা ছড়ির দুল।

 

সোনার মাটি রুপোর জীবন

তাম্রপত্রে লেখা,

লোহার হৃদয় মরচে পড়ে

আছাড় খেয়ে শেখা।

 

 

সুখ-সাগরে উথালপাতাল

ঢেউয়ের মত

জামাইবাবাজী রীতিমত ভদ্রলোক হয়ে গেছে।

গলায় সোনার চেন।পরনে বারমুন্ডা প্যান্ট। গেঞ্জীর কলার তুলে

মটোর সাইকেল চালায়।

বুক ভরে ওঠে আমোদ সেখের।সেই সাথে দীর্ঘশ্বাসও পড়ে বুক

চিরে। এই জামাইকে কত দিন গরুপেটা করেছে সে।

জামাইয়ের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায় আমোদের ভটভটি। জামাই

চোখ তুলে দেখেও না।মটোর সাইকেল

মন চায় ভাল কথা

প্রাণ চায় শান্তি,

জীবন বুঝে নেয়

সব কড়া-ক্রান্তি।

 

চোখ চায় ফুলরং

নাক চায় গন্ধ,

অকারণে সুখ চায়

কতিপয় অন্ধ।

 

-বড় বৌমা, বড় বৌমা, তোমার বাপের বাড়িটা কোথায় যেন?

শ্বশুরকে রান্নাশালের দিকে আসতে দেখে মাথার আঁচল ঠিক করল জোহরা। তারপর মৃদু হেসে বলল—কুসুমপুর। এরই মধ্যে ভুলে গেলেন আব্বা! এই তো গতমাসে বেড়িয়ে এলেন কুসুমপুর থেকে।জোহরার কথায় মাথা চুলকান ওসমান। জ্বিভ কেটে বলেন—হ্যাঁ, হ্যাঁ,

এই তো আমি হাত পেতেছি তোমার কাছে

এ হাত ছুঁয়েই বৃষ্টি নামে,বর্ষা আসে।

 

দাবানলের ভাগ্যে চিরকাল আগুন লেখা থাকে

সৌভাগ্যে কখনও জল-লেখা হয়

বৃষ্টি রেখার অযুত পাকে।

 

কর্মরেখায় কখনও শামুক,কখনও ঝিনুক

মুক্তো হাসে তরলিত স্পন্দনে।

তোমার হাতে সুখ-সমুদ্রের শাপলা-শালুক

দাও ছড়িয়ে মানবতার বন্ধনে।

*

আগে লোকে গাড়ি বলতে গরুর গাড়ি বুঝত।

এখন মানুষগুলো গরু হয়ে যাচ্ছে,তাই গরুর গাড়ি নিখোঁজের তালিকায়।

চারচাকার মোটরগাড়ি গুলোয় এখন গাড়ি।

শাওনের পাশ দিয়ে হুশহাশ চলে যায় ঝকমকে গাড়িগুলো।

শাওন আমেদ জীবনবীমার দালাল।দশ বছরের এজেন্ট হিসেবে তার যেমন উপার্জন হওয়ার

কথা ছিল,হয়নি। কারণ মিথ্যে ছাড়া

আমাদের ছায়ায় ভেতর আমরাই লুকিয়ে পড়ি

কখনও-সখনও।

ছায়ার ভেতর মানুষ পোড়ে

পুড়তে পুড়তে ফিনিক্স হয়

এখনও।

রোদপানিতে ছায়া ভিজে যায়

মায়ার মাটিতে,

বন্যার ঘরকন্নায় নুনও আগুন।

আমাদের ছায়া আমাদের দীর্ঘায়িত করে

আলাপ-বিলাপে ঋদ্ধ ফাগুন।

ছায়াটা নড়ছে। চলছে। কখনও সামনে, কখনও পেছনে। দেখছেন বটেশ্বর। ঘাড়

ঘুরিয়ে মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছেন না। ভূত নয়ত ?

ঘাড় মটকালে বিপদ। স্পন্ডেলাইটিস বড় ব্যথা দেয়। একে তো পায়ের ব্যথায়

কাহিল। খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। ঘাড় মটকানি নিশ্চয় আরো যন্ত্রণার!

রাস্তা ছেড়ে এবার গলিপথ ধরলেন বটেশ্বর। তখনই

 

 

এই বৃষ্টির দেশে কখনও কোথাও আগুন

লেগে যায়।সংসার পোড়ে,সাজানো গেরস্থালী

ছাই হয়।স্নিগ্ধ পাখির ডানায় ঘুণ

ধরে।কাদামাটিতে পন্ড  সুখের পৌষালী।

 

এই বৃষ্টির দেশে কখনও কোথাও খরা

ঘোষিত হয়।ফুটিফাটা জমিন কাঁটাগুল্মে জেগে

ওঠে। ভাঙা জানালায় রোদঝরা

দুপুর রাতদিন।মনন তচনছ তাপের অসহ বেগে।

 

এই বৃষ্টির দেশে কখনও কোথাও ফুল

ফুটে ওঠে। মরমী

go_top