Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

হে প্রভু চিত্তের ক্ষোভ ভুলে যাও মার্জনা কর আমায়
বক্র পন্থার পথিক হয়েছিনু , ভুলে ছিনু তোমায়
তোমায় লভিবার তরে
কত দিবস পরে পরে
নত করেছিনু শির ।
আপন জন ভুলিয়া
শয়তান সঙ্গী করিয়া
ত্যাগেছিনু আপনার নীর ।
অপকার বিনা উপকার মিলেনি
শান্তির লেশ দেখে নাই নয়নে
অশান্তিতে কেটেছে দিন

সকাল থেকে ঝাঁটা হাতে বাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাবেয়া।মুখে বলছে, একবার বাড়ি ফিরুক সে হারামজাদা,

ওকে যদি ঝেঁটিয়ে বিদেয় না করি তবে আমি হাফেজ-সাহেবের বিটিই লয়।

সকালবেলা প্রতিবেশীরা এসেছে। বৃত্তান্ত শুনেছে। বলেছে, অমন অলক্ষুনে ছেলেকে বিদেয় করা

সমুচিত কাজ।

রাবেয়ার গলার ঝাঁজ তাতে আরো বেড়েছে,

অমিত বেছে বেছে শিলঙ পাহাড়ে গেল। তার কারণ, সেখানে ওর দলের লোক কেই যায় না। আরো একটা কারণ, ওখানে কণ্যাদায়ের বন্যা তেমন প্রবল নয়। অমিতের হৃদয়টার ‘পরে যে দেবতা সর্বদা শরসন্ধান করে ফেরেন তাঁর আনাগোনা ফ্যাশানেবল পাড়ায়। দেশের পাহাড়-পর্বতে যত

নি:সঙ্গতার সনে বাসর
স্মৃতি সনে সংগম।
জেগে উঠে হিয়ার কামনা
অপরিসীম অফুরন্ত উদ্যোম।
বেকার রজনীর কালো খাট
স্মৃতির বুকে উষ্ণ আদর।
জীবনের খোলা পিঠ
স্মৃতির নখের লাল আঁচড়।
আপন উলংগ বর্তমান
আঁধার পর্দায় আড়াল।
শ্বাসধ্বনির উঠা নামা
সমীরণের কোলে বহাল।
নির্ঘুম নিশি চাদরের বুক
চরম পৈশাচিক নির্যাতন।
অবশেষে রাত্রির ক্লান্তিকালে
বীর্যে ভেজা দু’নয়ন।

সকাল থেকে বাম চোখটা কিরকির করছে। লক্ষণ ভাল না।হারাধন

জ্যোতিষী বলেছিল,উনপঞ্চাশ বছর বয়সটা একটু সামলে সুমলে চলো

শিবু, কোষ্ঠী অনুযায়ী ওই বছরটায় তোমার জীবনে অনেক ঘটনা ঘটবে।

— মরেটরে যাব নাকি ঠাকুর?

—বালাইষাট মরবে কেন,জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে, এ বিষয়ে কোন

ভবিষ্যৎবানী খাটে না।তবে আমার

 

 

শাক দিয়ে মাছ ঢাকলে

 
লেজ নাড়ে মাছে

 
দিন-দুপুরে মিথ্যে হাকলে

 
গাধা হাসে গাছে ,

 
বানরকে লাই দিলে

 
মাথায় উঠে মূতে

 
অবশেষে মান-ইজ্জত যায়

 
পালা-কুত্তার হাতে।

 

 

……………………………..

      

বাঁশের আগায় বইসা পাখি কান্দে

পাখির নাকি সখিয়া আটকা পড়ছে ফান্দে,

আমি কান্দি যৌবন জ্বালায় আইলো মোর বন্ধে

আমার বয়সী যারা সবাই ঘর বান্ধে ।

 

নদীর ধারে বইসা আমি খোঁজি আমার সখা

কতজনাই এল গেল বন্ধুয়ার নাই দেখা,

আমার ঘাটে প্রেমের তরী কেহ নাহি

(চতুর্থ পর্ব)
(পাঁচ)
গ্রীষ্ম কাল।
সন্ধ্যা হতেই দ্রুত রাত বাড়তে থাকে। ভ্যাপসা গরম। মাথার উপর টিনের চাল। বৈদ্যুতিক পাখা নেয়। তিমির কতদিন ভেবেছে এমাসে একটা ফ্যান কিনবে। আর হয়ে উঠেনি। রাতের কোলাহলটাও সহজে থামে না। অনন্তর ভালোই লাগে। রান্নাও শেষ। তাল পাতার হাত

শৈশবের সুপ্রিয় রচনা তুমি
কৈশোরের সুপ্রিয় বাহন
দুরন্তপনায় হাজার কাহিনী জাগানিয়া
এই বেলা তুমুল তারুণ্যে তুমি
স্মৃতিভারাতুর !
প্লেনের টিকিট কেটে
আকাশের বদ্ধ জানালায় মন ভরে না যে !
বাসের ভীড়ের চাপ দু’চোখের বিষ
রেলগাড়ী বড়ো বেশি ঝাঁকি ও শব্দপ্রবণ
তিনচাকা মাঝে মাঝে টানে
নৌকা ভ্রমনের তুলনাই নেই
অবারিত নদী ও

– এই ভিজছো কেন?
– ভালো লাগে।
– চলে এসো ঠান্ডা লাগবে।
– লাগুক।
– দেখো আমাকে বিপদে ফেলো না।
– আচ্ছা।
– কী আচ্ছা?
– বিপদে ফেলবো না।
– ভিজছো কেন তাহলে?
– বিপদে ফেলবো না বলেছি, ভিজবো না তা তো বলিনি।
– তুমি একটা পচা।
– তুমি খুব ভালো।

…..

go_top